ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর! ভারত-সহ ৬ দেশের নাগরিকদের বিনামূল্যে পর্যটন ভিসা দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা

ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ঋণের দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। পর্যটন শিল্পে গতি আনতে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভা ভারত এবং অন্যান্য ছ’টি দেশের ভ্রমণকারীদের বিনামূল্যে পর্যটন ভিসা প্রদানের নীতি অনুমোদন করেছে।

শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি মঙ্গলবার বলেছেন, ঋণে আটকে থাকা দ্বীপরাষ্ট্রটির পর্যটন ক্ষেত্রটিকে পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় কোনো খামতি রাখছে না দেশ। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এটি একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কার্যকর হবে। যা ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভা দ্রুত ভারত, চিন, রাশিয়া, মালয়েশিয়া, জাপান, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের ভ্রমণকারীদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে।

অর্থাৎ, এই দেশগুলির পর্যটকরা কোনো ফি ছাড়াই শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের সময় ভিসা হাতে পেতে পারেন। বলে রাখা ভালো, ঐতিহ্যগতভাবে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ অভ্যন্তরীণ পর্যটন বাজার হল ভারত। সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে, ভারত ৩০ হাজারের বেশি পর্যটক শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন। যা মোট পর্যটক সংখ্যার ২৬ শতাংশ। দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী হিসাবে চিনা পর্যটকরা শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ করেছেন। তবে তা ভারতের তুলনায় অনেকটাই কম। সেপ্টেম্বরে ৮ হাজার চিনা পর্যটক শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকেই অবনতি শুরু শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থার। যা এখন সাধারণ মানুষের সহনশীলতার বাইরে চলে যায়। শ্রীলঙ্কার আয়ের একটি বড়ো উৎস হল পর্যটন ব্যবসা। এই ব্যবসায় চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল ২০১৯-এর সন্ত্রাসবাদী হামলায়। ওই বছরের এপ্রিলে ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কায় অন্তত আট জায়গায় গির্জা ও হোটেলে বোমা হামলায় নিহত হন কয়েকশো। স্মরণ করা যেতে পারে, সে সময় দাবি করা হয়েছিল হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন কলম্বোর পাঁচতারা হোটেল শাংরি লা, কিংসবুরি আর সিনামন গ্র্যান্ডের বিদেশি পর্যটকরা। যার জেরে সেখানকার পর্যটন ব্যবস্থা প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।

তবে, সন্ত্রাসবাদী হামলা এর অন্যতম কারণ হলেও রয়েছে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আচমকা জৈব চাষে জোর, কর কমানো এবং উচ্চ বৈদেশিক ঋণের কারণে কার্যত দেউলিয়া হওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি।

আরও পড়ুন: এ বার পুকুর, ট্রাক্টরও শস্য বিমার আওতায়, ৩০,০০০ কোটি খরচের ভাবনা কেন্দ্রের

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.