বিবিডেস্ক: জম্মু–কাশ্মীরের অস্থির পরিস্থিতির প্রভাবে নিম্নমুখী হয়েছে শেয়ারবাজার। একই সঙ্গে ডলারের তুলনায় টাকার দামে দেখা দিয়েছে রেকর্ড পতন। আগামী কয়েক দিন কাশ্মীর ইস্যু যে শেয়ার বাজার থেকে শুরু টাকার দামে গুরুতর প্রভাব বজায় রাখবে, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে সোমবারেই।
দীর্ঘ ছয় বছরে এ ভাবে পতনের মুখ দেখেনি টাকার দাম। গত ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩-য় ১.৬ শতাংশের অবনমন ঘটে ডলারের তুলনায় টাকার দামে। এক ধাক্কায় টাকার দাম পড়ে ডলারপিছু দাঁড়ায় ৭০.৭৩ টাকা। গত শুক্রবার ডলারের তুলনায় টাকা থেমেছিল ৬৯.৫৯ টাকায়। কিন্তু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা নিয়ে রাজ্যসভায় বিল পেশের পরই তার রেকর্ড পতন হয়। ঠেকে ৭০.৫৯ টাকায়। অর্থাৎ, এ দিন ১০০ পয়সার অবনমন দেখা যায় টাকার দামে। একটা সময় যা ১.৩ শতাংশের ধাক্কা খেয়ে পৌঁছে গিয়েছিল ৭০.৭২ টাকাতেও।
সোমবার বাজার খুলতেই এক ধাক্কায় সেনসেক্স ৪৪০.১৫ পয়েন্ট বা ১.২ শতাংশ পড়ে সূচক দাঁড়ায় ৩৬৬৭৮.০৭ পয়েন্টে। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে সূচক ৬১৭.৩৩ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়ায় ৩৬৪৮৩.২৭ পয়েন্টে। ১৯১.৫৫ পয়েন্ট পড়ে নিফটি সূচক দাঁড়ায় ১০৮০৫.৫০ পয়েন্টে। টাকার দামও এক ধাক্কায় ৮৫ পয়সা বা ১.২২ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ফলে ডলার পিছু টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৭০.৪৩ টাকা।
পড়তে পারেন: আয়কর দাখিল করবেন? Mediclaim থেকে কতটা ছাড় পাওয়া যায়
অন্য দিকে ধাক্কা খেয়েছে চিনের মুদ্রা ইউয়ানও। ডলারপিছু ৭ ইউয়ান পড়েছে চিনের মুদ্রার দাম। জানা গিয়ছে, গত ২০১০ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে মুদ্রায় দামে এই ব্যাপক পরিমাণ অবনমন দেখেনি চিন। গত বৃহস্পতিবারই আমেরিকা-চিন বাণিজ্যযুদ্ধে ঘৃতাহুতি করেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতিরিক্ত ৩০০ মার্কিন ডলার শুল্ক চাপানো হয় চিনের ঘাড়ে। তারই ভার সহ্য করতে না পেরে এ দিন জাপানের নিক্কেই-সহ বিভিন্ন শেয়ার সূচকেও বড়োসড়ো পতন লক্ষ্য করা যায়।
সব মিলিয়ে দিনের শেষে বিশ্লেষকদের মূল্যায়ন, এক দিকে জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সিদ্ধান্ত অন্য দিকে চিনের উপর চাপানো আমেরিকার বাড়তি শুল্ক- বাজারকে সাঁড়াশি চাপে ফেলে দিল সোমবার। মঙ্গলবার এই হাঁসফাঁস অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় কি না, সেটাই দেখার।