রাশিয়া থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারত যে পদ্ধতি গ্রহণ করেছে তাতে আপত্তি নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে নয়াদিল্লিকে অনুমোদন না দেওয়ার একমাত্র কারণ, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ‘পরিণত’। বুধবার বলেছেন ইউরোপীয় ও ইউরেশীয় বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন ডনফ্রাইড।
মার্কিন চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও রাশিয়া থেকে তেল কিনছে ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন নিষেধাক্কাকে তোয়াক্কা না করেই ভারতের এই পদক্ষেপ নিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক বিতর্কও। একটি টেলিফোন সম্মেলনের সময় এ ব্যাপারে একটি প্রশ্নের উত্তরে ডনফ্রাইড বলেন, “আমরা ভারতকে অনুমোদন দিতে চাই না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবচেয়ে পরিণত সম্পর্ক।”
তাঁর কথায়, ভারত ও আমেরিকার সস্পর্ক বহু পুরনো। যখন দু’দেশের নীতি সংক্রান্ত ভিন্নমত তৈরি হয়, তখনও আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখি। একই সুর শোনা গিয়েছে আমেরিকার শক্তি সংক্রান্ত সহ সচিব জিওফ্রে প্যাটের গলাতেও।
তিনি বলেছেন, “রাশিয়া থেকে ভারতেক তেল আমদানি নিয়ে আমেরিকার কোনো অস্বস্তি নেই। তবে এটা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে যে আলোচনা চলছে তাকে আমরা সম্মান করি।”
অন্য দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি সম্পদ বিষয়ক সহকারী সচিব জিওফ্রে পাইট বলেছেন, “ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক সঙ্গে যে শক্তি সুরক্ষা এজেন্ডা অনুসরণ করছে। সেই জায়গায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত এক বছরে বৈশ্বিক শক্তি বাজারকে ব্যাহত করার জন্য যা করেছেন, সেই প্রেক্ষিতও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ”। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক অবস্থানকে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: এ বার ওয়াল্ট ডিজনি, এক লপ্তে ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই