অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলার! যা শেষ ১৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। কিন্তু খুচরো বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের চড়া দাম থেকে স্বস্তি মিলবে কি?
১৫ মাসের সবচেয়ে কম!
আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭৩ ডলারের কাছাকাছি লেনদেন করছে। যেখানে ডব্লিউটি ক্রুড ব্যারেল প্রতি ৬৭ ডলারের কাছাকাছি। এমনকি ভারতের সরকারি তেল কোম্পানিগুলো, যারা অপরিশোধিত তেল আমদানি করে, তাদের অপরিশোধিত তেলের দামও ব্যারেল প্রতি ৭৪ ডলারের কাছাকাছি। যা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ব্যারেল প্রতি ৮০.৯২ ডলার। অর্থাৎ, গড় মূল্য থেকে ৮.৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, এর পরেও সরকারি তেল সংস্থাগুলি পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে কোনো স্বস্তি দেয়নি।
দাম কমছে না পেট্রোল এবং ডিজেলের
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আচমকা বেড়ে গিয়েছিল। সে সময় অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছোয়, যা ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে বেশি। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তেই ভারতের সরকারি তেল সংস্থাগুলি ক্রমাগত পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়াতে শুরু করে। পরে দেশের অনেক শহরেই পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
মাঝে প্রতি লিটার পেট্রোলে ৮ টাকা এবং ডিজেলে প্রতি লিটার ৬ টাকা আবগারি শুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তার পরেও অপরিশোধিত তেলের দাম আরও কমেছিল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তা দামে অপরিশোধিত তেল পেতে শুরু করে ভারত। কিন্তু এখন অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারে নেমে এলেও পেট্রোল-ডিজেলের খুচরো দাম কমছে না।
সরকারি সংস্থার লোকসান
অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও পেট্রোল-ডিজেলের দাম না কমানো নিয়ে সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকারকে প্রশ্ন করেছেন বিরোধীরা। জবাবে পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি তেল সংস্থাগুলি ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার পরে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হয় সরকারি তেল সংস্থাগুলিকে। পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি রাজ্যসভায় বলেছেন, যে তিনটি সরকারি তেল সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম এবং ভারত পেট্রোলিয়াম ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর এর মধ্যে ১৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা লোকসান করেছে।