বিবি ডেস্ক: শুক্রবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৬ পয়সা কমে ৮২.৩৩ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় রুপি। এই দরপতনের দিকে নিবিড় নজর রাখছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। এ বার রুপির দাম নিয়ন্ত্রণে বড় সিদ্ধান্ত নিল আরবিআই।
কী পদক্ষেপ নিচ্ছে আরবিআই
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নন ডেলিভারেবল ফরোয়ার্ড মার্কেটে (Non-Deliverable Forward, NDF) ডলার বিক্রি করে রুপির পতনশীল মূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। মুদ্রার লেনদেন করে মুদ্রার মান নির্ধারণ করে এই এনডিএফ। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে নিজের বিদেশি মুদ্রা (ডলার রিজার্ভ) বিক্রি করবে আরবিআই। যা ডলারের তুলনায় রুপির দরপতন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কেন কমছে ভারতীয় মুদ্রার দাম
শেষ কয়েক মাস ধরে পতনের একটার পর একটা মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলছে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম। যার সূত্রপাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় থেকে। করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি কঠিন পর্যায়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদের হার বৃদ্ধি। ক্রমশ বেড়ে চলা মুদ্রাস্ফীতি। যার থেকে বিশ্বমন্দার জোরালো আশংকা। সবমিলিয়ে কার্যত আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, যতক্ষণ না মুদ্রাস্ফীতির ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলছে, এ ভাবেই নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাবে ভারতীয় মুদ্রায়।
ডলারের দাম বাড়লে কী প্রভাব পড়বে
রুপির দরপতন অর্থাৎ ডলার দামি হলে ভারতের অর্থনীতিতে বড়ো প্রভাব পড়তে পারে। কারণ তেল কোম্পানিগুলোকে বেশি ডলার দিয়ে অপরিশোধিত তেল কিনতে হবে অন্য দেশ থেকে। এতে আমদানি ব্যয় বাড়বে এবং পেট্রোল ও ডিজেলের জন্য বেশি দাম দিতে হবে সাধারণ গ্রাহকদের। অন্য দিকে, বিদেশে পড়াশোনা-সহ অন্য কোনো কাজে গেলে আপনাকে বেশি ডলার দিয়ে ফি মেটাতে হবে। রান্নার তেল-সহ অন্য পণ্যেরও দাম বৃদ্ধি হবে, কারণ ওই সব পণ্য আমদানি করতে সরকারকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে। এতে ভারতের আমদানি বিল বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: এ বার সিঙ্গাপুরে অফিস কিনছেন মুকেশ অম্বানি, আন্তর্জাতিককরণে বড়ো পদক্ষেপ