ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, সোনার রিজার্ভও কমেছে। শনিবার এমনটাই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)।
কতটা কমল বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার
পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার ক্রমাগত কমছে। ৬ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। আরবিআই প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ৬ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১৬.৬ কোটি ডলার কমে ৫৮৪৭৪. ২ কোটি ডলার হয়েছে।
৬ অক্টোবরের আগে, অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যালোচনাধীন সপ্তাহে, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭৯.৪ কোটি মার্কিন ডলার কমে ৫৮৬৯০.৮ কোটি ডলার হয়েছিল।
বলে রাখা ভালো, ২০২১ সালের অক্টোবরে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল ভারতের বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৪৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। এর পরে, গত বছর থেকে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির চাপের মধ্যে, আরবিআই ভারতীয় মুদ্রা রুপি রক্ষা করতে বৈদেশিক রিজার্ভ ব্যয় করেছিল। তার প্রভাব এখনও অব্যাহত।
সোনার ভাঁড়ারেও পতন
বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াও ভারতের সোনার মজুতও কমেছে। আরবিআই জানিয়েছে, সোনার রিজার্ভ ১৪২.৫ কোটি মার্কিন ডলার কমে ৪২৩০.৬ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কী
প্রসঙ্গত, কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে থাকা বিদেশি মুদ্রাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বলে। যেহেতু সমস্ত বৈদেশিক লেনদেন মার্কিন ডলারে হয়, তাই দেশটিকে আমদানি অর্থায়নের জন্য বৈদেশিক রিজার্ভের উপর নির্ভর করতে হয়।
বৈদেশিক মুদ্রাসম্পদ বেশিরভাগই সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং-সহ আন্তর্জাতিক উপকরণগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়। বেশি বৈদেশিক রিজার্ভ থাকা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায়, যে কারণে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও (এফডিআই) বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: ভারতের সবচেয়ে ধনীর তালিকা: শীর্ষে মুকেশ অম্বানি, পিছলে ২ নম্বরে গৌতম আদানি