৪ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে আবারও কমল ভারতের বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার (foreign reserves)। শুক্রবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক (RBI) জানিয়েছে, উল্লেখিত সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার থেকে হ্রাস পেয়েছে ২৪১ কোটি মার্কিন ডলার।
বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারের ওঠা-নামা চলে বরাবরই। আগের সপ্তাহ, ২৮ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থিতু হয়েছিল ৬০৩৮৭ কোটি ডলারে। ওই সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার ৩২০ কোটি ডলার কমেছিল। এ বার আরও কিছুটা কমে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার নেমেছে ৬০১৪৫.৩ কোটি ডলারে।
বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারের অন্যতম একটি বিভাগ হল বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (FCA)। যা হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। ১৯৪ কোটি ডলার কমে হয়েছে ৫৩৩৪০ কোটি ডলার।
বলে রাখা ভালো, ডলারের নিরিখে প্রকাশ করা হলেও বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদের মধ্যে ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো অ-মার্কিন ইউনিটগুলির মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়নের প্রভাবও রয়েছে এ দেশের বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারে।
সোনার রিজার্ভও ২২.৪ কোটি ডলার কমে হয়েছে ৪৪৬৮০ কোটি ডলার। যেখানে এসডিআর ১৭.১ কোটি ডলার কমে ১৮২৭ কোটি ডলার হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০২১ সালের অক্টোবরে, দেশের ফরেক্স সম্পদ সর্বকালের সর্বোচ্চে ৬৪৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের কারণে মূলত চাপের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রুপির মূল্য রক্ষা করার জন্য ডলার বিক্রিতে হস্তক্ষেপ করায় বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারে পতন দেখা গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের শেষ কয়েক মাস ধরে ডলারের তুলনায় দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে ভারতীয় টাকা। ভেঙেছে একের পর এক সর্বকালীন সর্বনিম্ন রেকর্ড। ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার কারণে তীব্র চাপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে অন্যান্য মুদ্রাগুলিও। আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে বছর ঘুরতে পরিস্থিতির বদল হয়েছিল অনেকটাই।
আরও পড়ুন: এফডি-তে সুদের হার বাড়াল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, জানুন বিস্তারিত