ফের বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার, শেষ ১০ মাসে সর্বোচ্চ

rupee dollar

মুম্বই: ফের বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার (foreign exchange reserves)। এই মুহূর্তে যা শেষ ১০ মাসের চেয়ে সর্বোচ্চ অবস্থানে।

শুক্রবার আরবিআই জানায়, ২৮ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থিতু হয়েছে ৫৮,৮৭৮ কোটি ডলারে। শেষ সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার ৪৫৩ কোটি ডলার বেড়েছে। মূলত বিদেশি মুদ্রা সম্পদের বৃদ্ধির ফলেই এই উত্থান। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর পরিসংখ্যান।

এর আগের সপ্তাহে সার্বিক বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার কমে গিয়েছিল ২১৬.৪ কোটি ডলার। তখন বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৫৮,৪২৪ কোটি ডলার। সবমিলিয়ে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ১০ মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল। গত ২০২২ সালের ১ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারে ছিল ৫৮,৮৩১ কোটি ডলার।

মার্কিন ডলার, ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ইত্যাদির মতো বিভিন্ন মুদ্রায় ধারণ করা হয় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য মুদ্রা প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা বা মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিপরীতে ধারণকৃত সম্পদের তুলনামূলক মূল্য নির্ধারিত হয়।

ফরেক্স মার্কেটের অংশগ্রহণকারীদের মতে, ভারতীয় রুপি স্থিতিশীল হওয়ায় ডলার কিনতে হস্তক্ষেপ করেছে আরবিআই। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে এই বৃদ্ধি ধরা পড়ছে।

গত বছরের শেষ কয়েক মাস ধরে ডলারের তুলনায় দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে ভারতীয় টাকা। ভেঙেছে একের পর এক সর্বকালীন সর্বনিম্ন রেকর্ড। ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার কারণে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে অন্যান্য মুদ্রাগুলিও। আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন বছরে সেই পরিস্থিতির কিছুটা হলেও বদল দেখা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় মুদ্রার অস্থিরতা মোকাবিলায় বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার ব্যবহার করা হচ্ছিল। অস্থির ও অস্বস্তিকর গতিবিধির নিয়ন্ত্রণে কোনো খামতি রাখতে চায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যদিও বর্তমানে ভারতীয় রুপি স্থিতিশীল হওয়ায় ডলার কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে আরবিআই।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.