ভারতে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৬ বছরের সর্বনিম্ন ৩.২ শতাংশে, বলছে সর্বশেষ সরকারি তথ্য

unemploment

১৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে বেকারত্বের হার নিয়ে সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস। পর্যায়ক্রমিক শ্রমবাহিনী সমীক্ষা (PLFS) ২০২২-২৩ রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ভারতের বেকারত্বের হার ছ’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩ সালের জুন মাসের সময়কালে যা ৩.২ শতাংশে এসে ঠেকেছে।

বেকারত্বে ক্রমশ পতন

সমীক্ষা অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সি ব্যক্তিদের স্বাভাবিক অবস্থায় বেকারত্বের হার (UR) উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। যা আগের অর্থবছরের ৪.১ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ৩.২ শতাংশ নেমে এসেছে। পিএলএফএস ডেটা অনুসারে, বিগত কয়েক বছরে ইউআর যথেষ্ট চড়া ছিল। যেমন, ২০২০-২১ সালে ৪.২ শতাংশ, ২০১৯-২০-তে ৪.৮ শতাংশ, ২০১৮-১৯-এ ৫.৮ শতাংশ এবং ২০১৭-১৮-তে ৬ শতাংশ। ফলে সর্বশেষ সমীক্ষা বছরে বেকারত্বের হার ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে।

গ্রামীণ এবং শহুরে প্রবণতা

গ্রামীণ এলাকায় ২০১৭-১৮ সালে ৫.৩ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩-এ ইউআর হ্রাস পেয়ে হয়েছে ২.৪ শতাংশ। যেখানে শহুরে এলাকায় ৭.৭ শতাংশ থেকে এটা কমে হয়েছে ৫.৪ শতাংশ। এই প্রবণতা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই প্রভাব ফেলেছে। যেমন, ২০১৭-১৮ সালে পুরুষদের ক্ষেত্রে ইউআর ৬.১ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে হয়েছে ৫.৪ শতাংশ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে যা ৫.৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২.৯ শতাংশ।

কর্মসংস্থানের হার বাড়ছে

১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য স্বাভাবিক অবস্থায় (ps+ss) শ্রমিক জনসংখ্যা অনুপাত (WPR) ২০১৭-১৮ সালে ছিল ৪৬.৮ শতাংশ। সেটাই ২০২২-২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৫৬ শতাংশ। বলে রাখা ভালো এই ডব্লিউপিআর মোট জনসংখ্যার মধ্যে কর্মরত ব্যক্তিদের শতাংশ নির্দেশ করে।

গ্রামীণ এলাকায়, ২০১৭-১৮ সালে এই ডব্লিইপিআর ছিল ৪৮.১ শতাংশ। সেটা শেষ সমীক্ষা বছরে বেড়ে হয়েছে ৫৯.৪ শতাংশ। শহরাঞ্চলে যা ৪৩.৯ শতাংশ (২০১৭-১৮) থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ৪৭.৭ শতাংশ। ভারতে পুরুষদের জন্য ২০১৭-১৮ সালে ডব্লিউপিআর ছিল ৭১.২ শতাংশ, ২০২২-২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৭৬.০ শতাংশ। মহিলাদের ক্ষেত্রে যা ২২.০ শতাংশ থেকে ৩৫.৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: সোনা-রুপোর দাম বেড়েই চলেছে, এর নেপথ্যে কারণ কী

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.