শেষ ৬ বছরে কর্মসংস্থানের সুযোগ কতটা বেড়েছে? জানাল এসবিআই রিপোর্ট

দেশের পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন শুরু হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ, উল্টো দিকে বেকারত্বের পরিস্থিতি এখন শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের আলোচ্য বিষয়। এমন একটা সময়ে গত ছ’বছরে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রিপোর্ট পেশ বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI)-র।

এসবিআই রিপোর্টের মোদ্দাকথা হল যে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অন্তত গত ছয় আর্থিক বছরে বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে। এর জন্য, এসবিআই-এর রিসার্চ টিম সম্প্রতি সরকারি সংস্থা এনএসএসও-র করা পর্যায়ক্রমিক শ্রম বাহিনী সমীক্ষা (PLSF)-র পর্যালোচনা করেছে এবং এটি নিজস্ব উপায়ে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে।

পিএলএফএস তথ্য় অনুসারে, ২০১৮ আর্থিক বছরে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও বিরোধী রাজনীতিক এবং কিছু অর্থনীতিবিদ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে যুবকদের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি এবং স্বনির্ভরতার ক্রমশ বেড়ে চলা সুযোগ সম্পর্কে বলা হয়েছে এর বাইরেও দেশের সংগঠিত খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব দেখা যাচ্ছে। তবে এসবিআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে এই ধরনের যুক্তি বাস্তবসম্মত নয়।

পিএলএফএস রিপোর্ট অনুযায়ী,২০১৮ আর্থিক বছরে মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে স্ব-কর্মসংস্থানের অংশ ছিল ৫২.২ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে ৫৭.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এসবিআই এ প্রসঙ্গে বলছে, আশি ও নব্বইয়ের দশক থেকে দেখা যাচ্ছে মোট কর্মসংস্থানে স্ব-কর্মসংস্থানের অংশীদারিত্ব ৫০ শতাংশের বেশি। কারণ হল পিএম মুদ্রা যোজনা এবং জিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে সমাজের নিম্নস্তরের মানুষ স্ব-কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ পেতে শুরু করেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষ করে, পারিবারিক ভাবে পরিচালিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার ঘটছে এবং তাদের মধ্যে কর্মরত গৃহকর্মীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ৮০ কোটি মানুষকে সরকার বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে, আয়ুষ্মান ভারত-এর মতো প্রকল্প রয়েছে, যা চিকিৎসার খরচ বহন করছে।

এ ছাড়াও, অনেক রাজ্য সরকার নিজস্ব প্রকল্প চালু করেছে। যা জনগণকে অনেক সুবিধা দিয়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সমাজের একটি বড় অংশের আয় বেড়েছে।

আরও পড়ুন: ১২ দিনে ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে ৫,৮০৬ কোটি টাকা প্রত্যাহার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের, কারণ কী

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.