সাহারা গ্রুপের প্রধান সুব্রত রায়ের মৃত্যুর পর বিনিয়োগকারীরা চিন্তিত নিজেদের গচ্ছিত অর্থ নিয়ে। তবে, ওয়াকিবহাল মহলের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিনিয়োগকারীদের টাকা জমা রয়েছে সেবি-র কাছে।
মঙ্গলবার রাতে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান সুব্রত রায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে সাহারা গ্রুপে বেশ কিছু বেনিয়ম এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। যদিও সাহারা গ্রুপ এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর জেলে যেতে হয় সুব্রত রায়কে। ২০১৬ সালে তিনি প্যারোলে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন।
সেবি (SEBI)-এর বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, ১১ বছরে সাহারা গ্রুপের দুটি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের ১৩৮.০৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে, ফেরতের জন্য বিশেষভাবে খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা করা পরিমাণ ২৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ফেরত দেওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা বেড়েছে। সেবি-সাহারা রিফান্ড অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স বেড়েছে ১,০৮৭ কোটি টাকা।
বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩১ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত সেবি ৫৩,৬৮৭ অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত ১৯,৬৫০টি আবেদন পেয়েছে। এর মধ্যে, মোট ১৩৮.৯৭ কোটি টাকার জন্য ৪৮,৩২৬ অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত ১৭,৫২৬টি আবেদনে ফেরত দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৬৭.৯৮ কোটি টাকার সুদের টাকার পরিমাণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সংস্থার প্রকাশিত তথ্যে রেকর্ড অনুপস্থিত থাকার কারণে কিছু আবেদন বাতিল হয়ে গেছে। নিজের সর্বশেষ আপডেটে, সেবি জানিয়েছে, ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত ১৭,৫২৬টি আবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত মোট পরিমাণ ১৩৮ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, সেবি বলেছে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশের অধীনে, ৩১ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত মোট ১৫,৬৪৬.৬৮ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ ৬ বছরে কর্মসংস্থানের সুযোগ কতটা বেড়েছে? জানাল এসবিআই রিপোর্ট