গ্রামে সামান্য কমলেও শহরে বেকারত্ব বেড়ে প্রায় ১১ শতাংশ!

আগের সপ্তাহের ৯.৫০ শতাংশ থেকে কমলেও গোটা দেশের বেকারত্ব (Unemployment) নিয়ে চিন্তা থাকলই। গ্রামাঞ্চলে তুলনায় কম হলেও তার মুখ এখনও ৮ শতাংশের দিকেই। শহুরে এলাকায় তা পেরিয়েছে ১০ শতাংশের গণ্ডি। গ্রামে ৮.৮৫ শতাংশ। এমনটাই জানাচ্ছে উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইআই (CMII)।

কী বলছে বেঙ্গল চেম্বার

বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারের (Bengal Chamber) আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারপার্সন অজিতাভ রায়চৌধুরীর বক্তব্য, ইউক্রেনে যুদ্ধ, চিনে কোভিডজনিত অনিশ্চয়তা এবং আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধি চাহিদা এবং জোগানকে কমিয়েছে। ফলে ধাক্কা খেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এর সুরাহায় ভারতে সুদের পরিবর্তে পণ্যের জোগান বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার পক্ষে। অজিতাভবাবুও সরবরাহে জোর দেন। যদিও তাঁর দাবি, মূল্যবৃদ্ধির মতো বেকারত্বের (Unemployment) তীব্রতা আগের থেকে কমেছে।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

এর জন্য আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত সুদের খরচ বাড়ায় পুঁজির ঘাটতিতে পড়া বহু সংস্থার সম্প্রসারণ থমকানো, প্রকল্প পিছনো, আর্থিক কর্মকাণ্ডের মাত্রা কমানো এবং মেটা (Meta),  টুইটার (Twitter),  অ্যামাজ়নের (Amazon) মতো পরিষেবা সংস্থার কর্মী ছাঁটাইকে দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে শুধু সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে। অগ্রাহ্য করা হচ্ছে আর্থিক কর্মকাণ্ডের অন্যান্য বিষয়কে। ফলে এটা হওয়ারই ছিল। রফতানি কমেছে। ভারতে শিল্পোৎপাদন আরও কমার আশঙ্কা বেড়েছে। তাই কাজ কমছে শহরে।’’

পটনা আইআইটি-র (Patna IIT) অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক অবশ্য মনে করেন মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি বহাল। চড়া সুদে ঢিমে আর্থিক বৃদ্ধিও। তাই কাজের বাজার ঝিমিয়ে। অথচ সেখানে ভিড় বাড়ছে। তিনি বলছেন, ‘‘সুদের খরচে ভুগছে পরিকাঠামো প্রকল্প থেকে ছোট ব্যবসা। আগামী দু’মাস উৎসবের মরসুমের সুযোগ নিতে পারলে কর্মসংস্থানের উন্নতি হবে। কাজ হবে আরবিআই সুদ বৃদ্ধির পথ থেকে সরলেও। অনির্বাণের দাবি, ভারতে আরও বাড়তে পারে সুদ। আর এই আতঙ্কেই বহু বেসরকারি সংস্থা সাম্প্রতিক কালে বড় মাপের লগ্নি থেকে হাত গুটিয়ে রয়েছে। দেশে ব্যাপক হারে উৎপাদন চালানোর মতো এমন কোনও কল-কারখানা তৈরিও হচ্ছে না, যেখানে অদক্ষ বা আধা-দক্ষ কর্মীরাও কাজ পাবেন। ফলে গ্রামেও বেকারত্ব চড়া।

আরও পড়ুন: চিনে করোনা আতঙ্ক! ভ্যাকসিন নির্মাতা আদর পুনাওয়ালার আশ্বাস, ভারতে ‘আতঙ্কের দরকার নেই’

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.