নয়াদিল্লি: এক বছর আগের তুলনায় দেশে বেকারত্ব (Unemployment) কমেছে। সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করে এমনটাই দাবি করল কেন্দ্র। যদিও কেন্দ্রের এই রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। যুক্তি হিসাবে পেশ করা হচ্ছে কেন্দ্রেরই পুরনো রিপোর্ট।
কী বলছে রিপোর্ট
জুলাই-সেপ্টেম্বরে ভারতের শহরাঞ্চলে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সি নাগরিকদের বেকারত্বের (Unemployment) হার কমে হয়েছে ৭.২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (এনএসও) (NSO) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। আগের বছর একই সময়ে এই হার ৯.৮ শতাংশ ছিল। রিপোর্টে ব্যাখ্যা, এক বছর আগে মূলত করোনা সংক্রান্ত লকডাউনের ফলে বেকারত্বের হার উঁচু ছিল। আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
কোথায় প্রশ্ন
পরিসংখ্যানে উন্নতির ছবি স্পষ্ট হলেও তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে এনএসও-র রিপোর্টেই সারা দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ। তখনকার সময়ে যা ছিল চার দশকের সর্বোচ্চ। এ বারের রিপোর্টে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করা হলেও এখনও বেকারত্বের হার সেই সময়ের চেয়ে বেশি।
তা ছাড়া এই সমীক্ষায় পুরো দেশের বেকারত্বের ছবি ফুটে ওঠেনি। বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থার রিপোর্টে উদ্বেগ ধরা পড়ছে গ্রামাঞ্চল নিয়ে। বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র (CMII) পরিসংখ্যান বলছে, অক্টোবরে গ্রামে বেকারত্বের (Unemployment) হার ছিল ৮.০৪ শতাংশ। আর গত ২০ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ৮.৩১ শতাংশ। এনএসও-র পদ্ধতি অনুযায়ী, সপ্তাহে অন্তত এক দিন এক ঘণ্টা কাজ পেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কর্মহীনের তালিকার বাইরে রাখা হয়। এই মাপকাঠি কতটা যুক্তিযুক্ত না নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: চাহিদা বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির, নতুন কারখানা তৈরি করল এথার