স্টার্টআপের জন্য বড়ো সুযোগ! এখন ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে এই সরকারি স্কিমে

বিবি ডেস্ক: স্টার্টআপের জন্য বড়ো সুযোগ। সেগুলিকে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত জামানত-মুক্ত ঋণ (collateral-free loan) প্রদানের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের (credit guarantee scheme) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ফর স্টার্টআপস

ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (DPIIT) একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ৬ অক্টোবর বা তার পরে একজন যোগ্য ঋণগ্রহীতার জন্য অনুমোদিত ঋণ সংক্রান্ত সুবিধাগুলি এই স্কিমের আওতাধীন হিসেবে বিবেচিত হবে। বলা হয়েছে, “ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ফর স্টার্টআপস (CGSS) অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে স্টার্টআপ হওয়ার জন্য যোগ্য ঋণগ্রহীতাদের পুঁজি জোগানোর জন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানের (MI) মাধ্যমে ক্রেডিট গ্যারান্টি দেওয়া যায়।”

আশা করা হচ্ছে, এই স্কিমটি স্টার্টআপগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জামানত-মুক্ত ঋণ তহবিল সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। এমআই-এর মধ্যে আর্থিক মধ্যস্থতাকারী (ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনবিএফসি, এআইএফ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যারা ঋণ প্রদান/বিনিয়োগে নিয়োজিত এবং স্কিমের অধীনে অনুমোদিত যোগ্যতার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কারা এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য

যে সব স্বীকৃত স্টার্টআপ স্থিতিশীল রাজস্ব প্রবাহের পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেমন ১২ মাসের মেয়াদে নিরীক্ষিত মাসিক বিবৃতি থেকে মূল্যায়ন করা হয়েছে, তারা এই সুবিধা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত। যেগুলি কোনও ঋণ/বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছে ঋণ খেলাপি নয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অনুসারে নন-পারফর্মিং অ্যাসেট হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ নয়, তারা এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।

কভারেজের সীমা

বিভাগীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রতি ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ গ্যারান্টি কভার ১০ কোটি টাকার বেশি হবে না। এখানে যে ক্রেডিট সুবিধাটি কভার করা হচ্ছে, তা অন্য কোনও গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় আনা উচিত নয়।”

পরিচালন পদ্ধতি

এই স্কিমের উদ্দেশে যোগ্য ঋণগ্রহীতাদের দেওয়া ঋণ বা ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে অর্থপ্রদানের গ্যারান্টি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভারত সরকার একটি ট্রাস্ট বা তহবিল গঠন করবে। ওই বোর্ডের ট্রাস্টি হিসেবে থাকবে বোর্ড অব ন্যাশনাল ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্টি কোম্পানি লিমিটেড। এছাড়াও ট্রাস্টের বিষয়গুলো তদারকি করার জন্য ডিপিআইআইটি-র গঠিত একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। ট্রাস্টের কার্যকারিতা পর্যালোচনা, তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণের জন্য দায়ী থাকবে ওই কমিটি। স্কিম সম্পর্কিত বিস্তৃত নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রাস্টকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে তারাই।

আরও পড়ুন: ডলারের তুলনায় রুপির দরপতন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে আরবিআই!


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading