বিবি ডেস্ক: পেট্রল, ডিজ়েলের তুলনায় সিএনজির (CNG) দাম কম। সিএনজি (CNG) গাড়ির বাজার বৃদ্ধির পক্ষে সেটাই ছিল অনুঘটক। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে পেট্রল বা ডিজ়েলের দাম না বাড়লেও এক বছরে সিএনজির (CNG) দাম বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ফলে দু’ধরনের গাড়ি চালানোর খরচের ফারাকও কমছে।
কোথায় আশঙ্কা
গত ছ’মাসে গাড়ির বিকল্প জ্বালানি সিএনজির (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) দাম চড়ায় নতুন সিএনজি (CNG) গাড়ির বুকিং কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল। এরই মধ্যে অক্টোবর থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের (Natural Gas) দাম ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় সিএনজির দাম আরও মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তা সত্যি হলে ওই গাড়ির চাহিদা আরও ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন গাড়ি সংস্থা (Automobile Industry)।
কতটা কমেছে বুকিং
এক গাড়ি সংস্থার শীর্ষকর্তার দাবি, সিএনজি (CNG) দামি হওয়ায় সস্তা গাড়ির সেই সুবিধা ক্রমশ কমছে। এর ফলে গত ছ’মাসে নতুন সিএনজি (CNG) গাড়ির বুকিংয়ের হার কমেছে বেশ খানিকটা। কিছু ক্ষেত্রে তা কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
মারুতি সুজ়ুকির (Maruti Suzuki) এক কর্তার দাবি, বিভিন্ন ধরনের গাড়ি বুক করে এখনও যত জন ক্রেতা গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ২৮ শতাংশ রয়েছেন সিএনজি (CNG) গাড়ির অপেক্ষায়। সংস্থা জানাচ্ছে, গত পাঁচ-ছ’মাসে তাদের সিএনজি গাড়ি বিক্রি প্রায় পাঁচ-ছ’হাজার বেড়েছে। তা হলে সমস্যা কোথায়? সংস্থার দাবি, এই দুই পরিসংখ্যানই বাজারের (Automobile Industry) অবস্থা বোঝার পক্ষে যথেষ্ট নয়। কারণ, যন্ত্রাংশের জোগান সঙ্কট কমায় বাজারে গাড়ির সরবরাহ বেড়েছে। ফলে সংখ্যার হিসাবে বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু সিএনজির চড়তে থাকা দর ওই গাড়ির নতুন চাহিদায় বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ওই জ্বালানির দরে স্থিতিশীলতা জরুরি বলে মত সংস্থার।
আরও পড়ুন: স্টার্টআপের জন্য বড়ো সুযোগ! এখন ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে এই সরকারি স্কিমে