বিবি ডেস্ক: রেড রোডে কার্নিভাল দিয়েই কার্যত সমাপ্তি এ বছরের দুর্গাপুজোর। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আর্থিক উন্নতির জোয়ার আসছে বলে জানালেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ বলেন, “পুজোকে কেন্দ্র করে বিদেশ থেকে এবং ভিন রাজ্য থেকেও অনেক পর্যটক বাংলায় এসেছিলেন। এটা আরও বাড়তে থাকবে। আগের বছর পর্যন্ত পুজোর ইকনোমি ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা। এ বছর পুজোকে কেন্দ্র করে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে”।
এর ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, “পাঁচ বছরের মধ্যে পুজোর ইকনোমি পৌঁছাবে ১ লক্ষ কোটি টাকায়। কেনাবেচা, জামাকাপড়, পুজোর সামগ্রী, রেস্তোঁরা- এই সব মিলিয়েই এই পুজোর ইকনোমি। এর মধ্যে বেশির ভাগটাই আসে পর্যটন থেকে। বাংলায় আর্থিক উন্নতির জোয়ার আসার সময় এসে গিয়েছে। এবং সেটা দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করেই”।
পুজো কার্নিভালকে ঘিরে রেড রোড রঙিন হয়ে উঠেছিল শনিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এদিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শামিল উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা এবং সল্টলেকের মোট ৯৫টি দুর্গাপুজো কমিটি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চলে পুজোর কার্নিভাল। বিকেল ৪টে ৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হয়েছিল। যখন শেষ হল তখন ঘড়ির কাঁটা ৯ টা ১০ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছে।
প্রতি বছর পুজো শেষে এই কার্নিভালের প্রতি একটা বাড়তি আকর্ষণ তৈরি হয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের মানুষজনেরা। ২০১৯-এর পর দু’বছর কোভিডের জন্য এই মেগা কার্নিভাল আয়োজন করা যায়নি। তাই এ বারের কার্নিভাল ঘিরে জাঁকজমক ছিল অনেক বেশি।
কার্নিভালের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “আমার পুজোতেও অনেক বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, শিল্প ও সংস্কৃতির এত বড়ো আয়োজন আগে দেখিনি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো শিল্প ও সংস্কৃতি হচ্ছে আমাদের দুর্গা পুজো। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই কার্নিভাল। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো কার্নিভাল”।
আরও পড়ুন: স্টার্টআপের জন্য বড়ো সুযোগ! এখন ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে এই সরকারি স্কিমে