উৎসবের মরশুমে ছন্দে ফিরছে বাজার, চিনা পণ্যের ব্যবসা কমতে পারে ৭৫ হাজার কোটির!

marketing

বিবি ডেস্ক: আঞ্চলিক স্তরে দেশের বাজারে ক্রমেই বাড়ছে ভারতীয় পণ্যের উপর নির্ভরতা। যার ফলে ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে চিনা পণ্য। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র উৎসবের মরশুমেই প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা কম করতে পারে চিনা পণ্য। বাণিজ্যমহলের আশা, এর ফলে উৎসবের মরশুমে দেশের বাজারে তেজি ভাব দেখা দেবে।

কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (Confederation of All India Traders)-এর সমীক্ষা

করোনার (Corona Virus) কারণে গত দু’বছর অনেকটাই ঝিমিয়েছিল উৎসবের মরশুম। তবে এ বার সংক্রমণের পরিমাণ অনেকটাই কম। যেটুকু আছে, তাকে পাত্তা দিতে নারাজ সাধারণ মানুষ। তাই গণেশ চতুর্থী থেকে দেশে যে উৎসব-পার্বণ শুরু হয়েছে, তাতে মাততে চাইছে আট থেকে আশি। আর এই আবহেই আশার আলো দেখতে পাচ্ছে বাণিজ্যমহল।

করোনার কারণে ঝিমিয়ে থাকা বাণিজ্যের পালে এ বার বাতাস লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (Confederation of All India Traders) একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দাবি করেছে, গণেশ চতুর্থী থেকে শুরু হওয়া বড়দিন পর্যন্ত উৎসবের মরশুমে ব্যবসা হবে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার।

চিনা পণ্যে অনুৎসাহ

কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানান, গণেশ চতুর্থীতেই (Ganesh Chaturthi) বোঝা গিয়েছে যে বাজার পুরনো ছন্দে ফিরছে। গণেশ চতুর্থীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হয় মহারাষ্ট্রে। কিন্তু এ বার দেশের পশ্চিম প্রান্তের এই রাজ্যের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করেছে আরও কয়েকটি রাজ্যও। এক মাসের মধ্যে শুরু হবে শারদোৎসব। এ রাজ্যের মতো দুর্গা পুজো (Durga Puja) পালিত হবে সারা দেশে।

প্রবীণের মতে, দুর্গা পুজো আর দেওয়ালিতে দেশে যে ভাল ব্যবসা হবে তার প্রমাণ দিচ্ছে ছোট ব্যবসায়ীদের পণ্য বরাত দেওয়ার প্রবণতা। কনফেডারেশনের সমীক্ষাকারী শাখা ‘সিয়াট রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’ দেশের মোট ২০টি শহরে সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই তালিকায় আছে কলকাতাও। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, উৎসব উপলক্ষে দোকানগুলি ভাল পরিমাণে পণ্য মজুত করতে শুরু করেছে। সেই সমীক্ষাই বলছে, গত দু’বছরের মতো এই বছরেও চিনা পণ্যের প্রতি আগ্রহ কম। এর ফলে দেশীয় বাজারে সুরাহা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পিছনে পড়ল ব্রিটেন, কী ভাবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এখন ভারত

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.