নয়াদিল্লি: সাময়িক স্বস্তি! লাগাতার রেপো রেট বাড়ানো থেকে বিরত রইল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার তিন দিনের মানিটরি পলিসি কমিটির বৈঠক শেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, রেপো রেট স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরবিআই গভর্নর বলেন, “সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং আর্থিক অবস্থা নিয়ে আমরা মূল্যায়ন করেছি। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই বলে আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি।মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ না মূল্যস্ফীতির টেকসই হ্রাস দেখা যাচ্ছে, ততক্ষণ এই লড়াই চলবে”।
আরবিআই-এর অনুমান, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য ভারতীয় অর্থনীতির প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে ৬.৫ শতাংশ। যা প্রথম থেকে চতুর্থ, চারটি ত্রৈমাসিকের জন্য যথাক্রমে ৭.৮ শতাংশ, ৬.২ শতাংশ, ৬.১ শতাংশ এবং ৫.৯ শতাংশ।
উল্লেখ্য়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রেপো রেট ২৫ বিপিএস বৃদ্ধি করেছিল আরবিআই। ডিসেম্বরের মুদ্রানীতি পর্যালোচনায়, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মূল সুদের হার ৩৫ বিপিএস বাড়িয়েছিল। তার পরে রেপো রেট ৬.২৫ শতাংশ করা হয়েছিল শেষ বারের বৈঠকে। গত বছরের মে থেকে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বল্পমেয়াদী ঋণের হার ২২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ফের এক বার বৃদ্ধির ফলে রেপো রেট দাঁড়িয়েছে ৬.৫০ শতাংশে।
প্রসঙ্গত, যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলা হয়। আবার বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয় তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট।
সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রেপো রেট কমানোর পরই বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলি নিজেরে সুদের হারে পরিবর্তন নিয়ে আসাটাই রীতি। ফলে রেপো রেট বাড়লে তার সরাসরি প্রভাব এসে পড়ে ঋণ শোধের প্রক্রিয়ায়। ঠিক এই কারণেই রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে বাড়ি কিংবা গাড়ি কেনার ইএমআই বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বাড়তি সুদ! বিশেষ FD-র শেষ তারিখ বাড়াল SBI