বাংলাbiz ডেস্ক: করোনা অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেই করব্যবস্থা সংস্কারের পথে অনেকটাই এগোল কেন্দ্রীয় সরকার। সূচিত হল ‘স্বচ্ছ করব্যবস্থা – সৎকে সম্মান’ (ট্রান্সপারেন্ট ট্যাক্সেশন – অনারিং দ্য অনেস্ট) শীর্ষক নতুন মঞ্চ।
দেশের করব্যবস্থা সংস্কারের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার নতুন মঞ্চের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, জাতি গঠনে দেশের সৎ করদাতারা বিরাট ভূমিকা পালন করেন। আজ থেকে যে নতুন সুবিধা চালু হচ্ছে তাতে সৎ মানুষকে সম্মান জানানোর ব্যাপারে সরকারের দায়বদ্ধতাতেই জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “দেশের করব্যবস্থার সংস্কার এবং তা সরল করার উদ্দেশ্যেই এই নতুন মঞ্চ চালু হল। এখন থেকে করদাতাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হবে। করদাতাকে এখন বিশ্বাস করা হবে, তাঁর দিকে সন্দেহের নজরে তাকানো হবে না। কর বিভাগকে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই যাবতীয় পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘জনকেন্দ্রিক এবং জনবান্ধব’ করব্যবস্থার উপর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। সংস্কারের অঙ্গ হিসাবে শুরু হল ফেসলেস মূল্যায়ন (ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট) ফেসলেস আবেদন (ফেসলেস অ্যাপিল) এবং করদাতার নথি সংক্রান্ত অধিকার (ট্যাক্সপেয়ার্স চার্টার)।
আরও পড়ুন: সংকটে পড়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে আরও একটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
কর সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে গিয়ে অনেক সময় সশরীরে আয়কর দফতরে নথি নিয়ে হাজির হতে হয়। এ ক্ষেত্রে ফেসলেস মূল্যায়ন এবং আবেদন চালু হওয়ায় সে সবের ঝক্কি কমবে। কারণ, এই প্রক্রিয়ার পুরোটাই কম্পিউটারের মাধ্যমে হবে।
নতুন মঞ্চ করদাতাদের ফেসলেস মূল্যায়ন, ফেসলেস আবেদন এবং করদাতার নথি সংক্রান্ত অধিকারের সুবিধা দেবে। ফেসলেস আবেদন কার্যকর হবে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আর বাকি দু’টি ব্যবস্থা চালু হবে ১৩ আগস্ট থেকে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরমণের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করদাতাদের সুবিধার্থে প্রত্যক্ষ কর সংক্রান্ত বোর্ড (সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস) আরও পদক্ষেপ করবে। এই পদক্ষেপ ভারতের উন্নয়নকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে, করব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে। কারণ, যে কোনো ধরনের জটিলতার সরলীকরণ করা হলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়। এর জন্য চারটি বিষয়ের উপর নির্ভর করতে হবে – নির্দিষ্ট নীতি, করদাতাদের উপর আস্থা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং দক্ষতা।”