দেশে ৫জি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, প্রথম ধাপে পরিষেবা মিলবে কলকাতা-সহ এই ১৩টি শহরে

modi

বিবি ডেস্ক: শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ৫জি পরিষেবা (5G services)-র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রাথমিক ভাবে দেশের কিছু শহরে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। ধাপে ধাপে গোটা দেশেই ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির জন্য এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।

প্রাথমিক ভাবে কোন কোন শহরে ৫জি পরিষেবা

নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ১ থেকে ৪ অক্টোবর চলছে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস (IMC)। সেখান থেকেই দেশে ৫জি প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। দীপাবলি থেকে শহরগুলিতে চালু হয়ে যাবে এই পরিষেবা। প্রাথমিক ভাবে দেশের ১৩টি শহরে চালু হচ্ছে ৫জি পরিষেবা। আপাতত কলকাতা, অমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চণ্ডিগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, হায়দরাবাদ, জামনগর, লখনউ, মুম্বই এবং পুনে শহরে পাওয়া যাবে ৫জি পরিষেবা।

প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ডেমো দেখালেন আকাশ অম্বানি

এ দিন ৫জি পরিষেবার উদ্বোধন করে ডেমো জোনে রিলায়েন্স জিও (Reliance’s Jio)-র প্যাভিলিয়নে যান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে ‘ট্রু ৫জি’ (True 5G) ডিভাইস এবং জিও গ্লাস (Jio Glass) ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন রিলায়েন্স প্রধান মুকেশ অম্বানির বড়ো ছেলে এবং জিও ইনফোকমের বোর্ডের চেয়ারম্যান আকাশ অম্বানি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, টেলিকম প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহান এবং মুকেশ অম্বানি।

কতটা লাভবান হবে দেশ

গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি বডির এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ৫জি পরিষেবার হাত ধরে ২০২৩ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত প্রায় ৩৬.৪ ট্রিলিয়ন বা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৬.৪ লক্ষ কোটি টাকা লাভ হতে চলেছে। ৫জি প্রযুক্তির কারণে ভারত আগামীদিনে আরও দ্রুত গতির ডেটা সরবারহ করতে পারবে।

৪জি-র থেকে গ্রাহককে আরও উচ্চগতির ডেটা সরাবরাহ করবে ৫জি। সর্বোচ্চ সময়ে, ৫জি-তে ইন্টারনেটের গতি ১০ জিবিপিএস স্পর্শ করতে পারে,যা ৪জি-র ১০০ এমবিপিএস-এর তুলনায় অনেকগুণ বেশি। পাশাপাশি বাধামুক্ত ভিডিয়োর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে টেলিকম কোম্পানিগুলি। এই পরিষেবাগুলি আসার পরে মানুষ স্মার্ট অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে ক্লাউড গেমিং সবই পাবেন। এমনকী গ্রাহকরা অনলাইনে কেনাকাটার সময়ও সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা পাবেন। সার্বিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল বদল আসবে।

আরও পড়ুন: টাটাদের নজরে সেই সানন্দ, বৈদ্যুতিক গাড়ির আঁতুড়ঘর হতে চলেছে গুজরাতের শহর

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.