বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট, লম্বা লাফ দিতে পারে নিফটি, কতটা?

বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে লোকসভা নির্বাচনের বড়োসড়ো প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। ভারতীয় শেয়ারবাজারও তার বাইরে নয়। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। বিশ্লেষকদের অনুমান, নির্বাচনের বছরে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে অন্যতম সূচক এনএসই নিফটি ফিফটি।

নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ নিফটি ২৩,০০০ থেকে ২৪,০০০-এর স্তরে পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান বিশ্লেষকদের। এরসঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, মুদ্রাস্ফীতি অথবা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদের হার পরিবর্তনের বিষয়গুলির তেমন কোনো সম্পর্ক জড়িত থাকার সম্ভাবনা কম।

ভোটের বছরে শেয়ার বাজারের মতিগতি খতিয়ে দেখার জন্য গত চার দশকের ঐতিহাসিক তথ্য ঘেঁটে দেখেছেন বিশ্লেষকরা। ইকনোমিক্স টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যে নিফটি ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে তথ্যগুলি থেকে অনুমান, ২০২৪ সালে আরও ১৭ শতাংশ রিটার্ন দিতে পারে।

এ বিষয়ে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে শেষ কয়েকটি সাধারণ নির্বাচনের বছরে শেয়ার বাজারের উত্থানের গ্রাফ। যেমন, ২০১৯ সালে নিফটি প্রায় ১৪.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। আবার, তার আগের বার ২০১৪-র লোকসভা ভোটের বছরে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল ৫০টি স্টকের এই সূচক।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের বছরে ৮১ শতাংশ বেড়েছিল নিফটি। তার আগের বছর অবশ্য ৫২ শতাংশ পতন দেখেছিল বিশ্বমন্দার কারণে। তারও আগে, ২০০৪ এবং ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটের বছরে নিফটি যথাক্রমে ১৩ শতাংশ এবং ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

স্বাভাবিক ভাবে, লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে আগামী বছরেও নিফটি-র বৃদ্ধি একপ্রকার নিশ্চিত বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। ইক্যুইটি বাজারের অনুভূতিতে আগামী বছরও একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনের আগের বছরেই সূচকগুলি ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। তা ছাড়া, ২০০৪ সাল থেকে বিগত চারটি লোকসভা নির্বাচনের বছরে বড়োসড়ো রিটার্ন দিয়েছে শেয়ার বাজার। এই বছরগুলিতে ব্যাঙ্কিং, আর্থিক পরিষেবা, বিমা সেক্টর অন্যতম লাভদায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আগামী বছরেও এই সেক্টরগুলিতে লাভের আশা করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।

আরও পড়ুন: সাহারার টাকা ফেরাতে বড়ো আশ্বাস, আবারও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে কেন্দ্র


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading