দেশের সবচেয়ে বড় বিনোদন সংস্থার আবির্ভাব! মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে ডিজনি

reliance disney

মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্স এবং ওয়াল্ট ডিজনির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তি। এর অধীনে, ওয়াল্ট ডিজনির ভারতীয় ব্যবসার ৫১ শতাংশ হাতে থাকবে রিলায়েন্সের। উভয় প্রতিষ্ঠান একত্রিত হওয়ার পর দেশের সবচেয়ে বড় বিনোদন সংস্থার আবির্ভাব ঘটতে চলেছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

রয়টার্স এবং ইকনোমিক্স টাইমস-এর রিপোর্ট অনুসারে, বিনোদন ব্যবসার এই বৃহত্তম একীভূতকরণ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুকেশ অম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্স এতে ৫১ শতাংশ অংশীদারিত্ব পাবে এবং ৪৯ শতাংশ থাকবে ডিজনির মালিকানাধীন। নগদ এবং স্টক উভয়ই এই একীভূতকরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি সম্পূর্ণ হলে, রিলায়েন্স-ডিজনি হয়ে উঠবে দেশের সবচেয়ে বড় বিনোদন সংস্থা। রয়টার্স জানিয়েছে , উভয় সংস্থার কর্মকর্তারা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে লন্ডন যাচ্ছেন।

রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিজনি নিজের ভারতীয় ব্যবসা বিক্রি বা যৌথ উদ্যোগের জন্য একটি ভারতীয় কোম্পানিকে অংশীদার করার চেষ্টা করছিল। ডিজনির অনেকগুলি টিভি চ্যানেল এবং হটস্টার স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। একীভূত হওয়ার পরে, উভয় সংস্থা একসঙ্গে ১০০ থেকে ১৫০ কোটি ডলারের বিনিয়োগও করতে পারে।

রিলায়েন্স এবং ডিজনি একত্রিত হলে ভারতের বৃহত্তম বিনোদন সাম্রাজ্য তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। জি এন্টারটেইনমেন্ট এবং সোনির মতো টিভি চ্যানেল এবং নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইমের মতো স্ট্রিমিং প্ল্য়াটফর্মগুলির সঙ্গে তারা প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে।

এমনিতে বিনোদন জগতে ডিজনির সঙ্গে রিলায়েন্সেপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন নয়। বিশেষ করে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট ম্যাচের বিনামূল্যে স্ট্রিমিং অফার করে রিলায়েন্স। যা আগে ডিজনির হটস্টার অ্যাপের জন্য গ্রাহক সংখ্যাকে শক্তিশালী করেছিল।

রিলায়েন্স নিজের মিডিয়া এবং বিনোদন ইউনিট ভায়াকম ১৮-র মাধ্যমে অসংখ্য টিভি চ্যানেল এবং জিও সিনেমা স্ট্রিমিং অ্যাপের সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রতিবেদন অনুসারে প্রস্তাবিত চুক্তিটি রিলায়েন্সের ভায়াকম ১৮ র অধীনে একটি ইউনিট স্টক অদলবদলের মাধ্যমে স্টার ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেবে।

আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে কোন কোন দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে, দেখুন পুরো তালিকা

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.