গাড়ির বিমা ছাড়া পেট্রোল-ডিজেল মিলবে না? কেন এমন জল্পনা

petrol 1

আপনার গাড়ি-বাইকের বিমা করানো আছে তো? নইলে এমনও হতে পারে পাম্পে গিয়ে আপনি পেট্রোল বা ডিজেল পাবেন না। প্রথমে বিমা করে আসুন, তার পরই মিলবে জ্বালানি! আচমকা কেন এমন জল্পনা।

এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে বিমা সংস্থাগুলির একটি প্রস্তাবে। যেখানে বলা হয়েছে, বিমাবিহীন যানবাহনকে তেল পাম্পে পে‌ট্রোল-ডিজেল ভরার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, অটোমোবাইল বিমার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিমা শিল্প এই প্রস্তাব করেছে। এই অফারটি এই মাসের শুরুতে বিমা নিয়ন্ত্রক, ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা আইআরডিএআই (IRDAI)-এর আয়োজিত ‘বিমা মন্থন’-এর সময় উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের অংশ।

এই প্রস্তাবটি উপস্থাপনের পাশাপাশি, একটি অ্যাপও দেওয়া হয়েছে, যা এম পরিবহণের সঙ্গে নিবন্ধিত হবে এবং কোন গাড়িটির বিমা রয়েছে এবং কোনটির নেই, তা জানাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি এই প্রস্তাব গৃহীত হয়, তবে এই অ্যাপটি তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে শেয়ার করা হবে এবং এটি প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে পাওয়া যাবে। ক্যামেরা স্ক্যানারে যানবাহন স্ক্যান করা হবে। এই অ্যাপটির মাধ্যমে দ্রুত গাড়ির বিমা অবস্থা সম্পর্কে তথ্য মিলে যাবে।

সাম্প্রতিক বিমা মন্থন বৈঠকে, আরও একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। যেখানে গাড়ির বিমার অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য সড়ক ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রকের ‘বাহন’ অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যে কোনো গাড়ির ক্ষেত্রে বিমা (insurance) আবশ্যিক। তবে রাস্তায় এখনও বিপুল সংখ্যক যানবাহনের বিমা নেই। এই পরিস্থিতি বদলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিশেষ আর্জি বিমা সংস্থাগুলির। তাদের দাবি, বিমাবিহীন যানবাহনগুলিকে ফাসট্যাগ (FASTag) অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে লিঙ্ক করা উচিত। রাস্তায় বিমাবিহীন যানবাহনের একটি উদ্বেগজনক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সমস্ত যানবাহনের আনুমানিক ৪০-৫০ শতাংশ বিমার আওতায় নেই এখনও।

প্রসঙ্গত, যদি যানবাহনের থার্ড-পার্টি পলিসি ফাসট্যাগ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়, তা হলে হাইওয়েতে চলমান বিমাবিহীন যানবাহনগুলিকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। এ ছাড়াও তাৎক্ষণিক ভাবে বিমাবিহীন গাড়িগুলি থেকে থার্ড-পার্টি বিমার প্রিমিয়ামও কেটে নেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন: আসছে গ্রীষ্মকাল, লোডশেডিং রুখতে আগাম পদক্ষেপ বিদ্যুৎমন্ত্রকের

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.