আসছে গ্রীষ্মকাল, লোডশেডিং রুখতে আগাম পদক্ষেপ বিদ্যুৎমন্ত্রকের

গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা। পর্যাপ্ত সরবরাহ নিয়ে আশঙ্কা। আগাম পদক্ষেপ নিচ্ছে বিদ্যুৎমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন গ্রীষ্মের মাসগুলিতে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ বছর তো বটেই, আগামী কয়েক বছর গ্রীষ্মের মরশুমে রাতের দিকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তাদের মতে, নতুন করে কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিলম্ব ঘটছে। ১৬.৮ গিগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টির মতো কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ এক বছরেরও বেশি দেরি হয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কিছু প্রকল্প ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিলম্বের মুখোমুখি হচ্ছে। অন্য দিকে, সৌরবিদ্যুৎও যথেষ্ট পরিমাণে মিলছে না। ফলে ক্রমশ বেড়ে চলা চাহিদা মেটাতে দেশের ক্ষমতা সীমিত হতে পারে।

তবে কেন্দ্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এপ্রিল এবং মে মাসের সর্বোচ্চ গ্রীষ্মকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে আগাম কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে। কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশ অনুসারে, আগামী ১৬ মার্চ থেকেই সমস্ত আমদানিকৃত কয়লা-ভিত্তিক প্রকল্পগুলিকে পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বিবৃতি অনুসারে, গ্রীষ্মের মাসগুলিতে লোডশেডিং এড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে। এর জন্য কয়লাচালিত কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ করা হবে। এ ছাড়াও রেলওয়ে বোর্ড পণ্য পরিবহণের জন্য পর্যাপ্ত রেকের বন্দোবস্ত করবে বলেও জানিয়েছে বিদ্যুৎমন্ত্রক। চলতি বছরের এপ্রিলে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ২২৯ গিগাওয়াটে ঠেকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাশাপাশি, যে কোনো সময় সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে গ্যাস-ভিত্তিক শক্তি ব্যবহারের করা হবে। আগামী মাসে সরবরাহে গতি আনতে হাইড্রো প্ল্যান্টগুলিকে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। আশার কথা, মার্চের মধ্যেই কয়লাচালিত প্রকল্পগুলি থেকে বাড়তি ২,৯২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মিলবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।

আরও পড়ুন: সোনার গয়না কেনার নতুন নিয়ম, ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading