আইডিবিআই ব্যাঙ্কে নিজের অংশীদারিত্ব রাখতে আগ্রহী এলআইসি, কী কারণে

আইডিবিআই ব্যাঙ্কে (IDBI Bank) নিজের অংশীদারিত্বের একটি অংশ ধরে রাখার পরিকল্পনা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন বা এলআইসি (LIC)। জানা যাচ্ছে, ব্যাঙ্কাসুরেন্সের সুবিধাগুলিকে কাজে লাগাতেই এই পরিকল্পনা।

এলআইসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মোহান্তি একটি সাক্ষাৎকারে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি,এলআইসি-ও আইডিবিআই ব্যাঙ্কে নিজের অংশীদারিত্ব বর্জন করবে, তবে সম্পূর্ণ ভাবে ছেড়ে যেতে পারবে না।

এলআইসি চেয়ারম্যানের কথায়, “আমরা এটা স্পষ্ট করেছি যে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্কাসুরেন্সে আমাদের এক নম্বর অংশীদার। আমরা আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কিছু অংশ ধরে রাখব, যাতে সেই ব্যাঙ্কাসুরেন্স অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকে”।

বলে রাখা ভালো, আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৪৫ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক সরকার এবং ৪৯.২৪ শতাংশ রয়েছে এলআইসি-র হাতে। সরকার ও এলআইসি যৌথ ভাবে ৬০.৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৯ থেকে এলআইসি-এর একটি সহায়ক সংস্থা হয়ে ওঠে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক। কারণ, সেসময় অতিরিক্ত ৮২,৭৫,৯০,৮৮৫ ইক্যুইটি শেয়ার অধিগ্রহণ করেছিল এলআইসি।

ব্যাঙ্কাসুরেন্স হল একটি ব্যাঙ্ক এবং একটি বিমা সংস্থার যৌথ উদ্যোগ। এ ধরনের চুক্তির মাধ্যমে বিমা সংস্থা নিজের পণ্যগুলিকে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের এবং অন্যদের কাছে শাখা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিক্রি করার অনুমতি দেয়। বর্তমানে, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্কাসুরেন্স চ্যানেলে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। তবে, একই সঙ্গে এলআইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাঙ্কাসুরেন্স ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার জন্য, এলআইসি-র সম্পূর্ণ অংশীদারিত্বের প্রয়োজন হবে না।

এই মাসের শুরুতে, ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট মনিটাইজেশন (DIPAM) সেক্রেটারি তুহিন কান্ত পান্ডে জানিয়েছিলেন, আইডিবিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রি ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে শেষ নাও হতে পারে। এ ধরলেন লেনদেনে আরবিআই (RBI)-এর উপযুক্ত এবং যথাযথ মানদণ্ড মেনে চলতে হয়। সেইসব দিক বজায় রেখেই মার্চের আগে এই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে মনে হয় না।

আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে তিনগুণের বেশি বাড়তে পারে ভারতীয় ওষুধের বাজার, গুণমানে নজর দেওয়ার আহ্বান রিপোর্টে


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading