২০৩০ সালের মধ্যে ১৩,০০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেই পথ ধরেই ২০৪৭ সালে ৪৫,০০০ কোটি ডলার। ভারতীয় ওষুধের বাজারের লক্ষ্য এমনটাই হওয়া উচিত বলে মনে করে একটি বহুজাতিক ফার্মা কোম্পানিগুলির নেটওয়ার্ক ও নেতৃস্থানীয় পরামর্শ সংস্থা।
অর্গানাইজেশন অফ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডিউসার্স অফ ইন্ডিয়া (OPPI) এবং আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং-এর প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার ওপিপিআই-এর বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে প্রকাশিত হয়েছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ওষুধের বাজার এখন পর্যন্ত প্রায় ৫,০০০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই বৃদ্ধির গতিপথ দেশীয় বাজারে সম্প্রসারণ দ্বারা চালিত হতে পারে, দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার বর্ধিত আকারের মাধ্যমে যা উৎসাহিত হতে পারে। আয়ুষ্মান ভারত এবং আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের মতো সরকারি উদ্যোগ এবং পরবর্তী প্রজন্মের থেরাপিউটিকস উদ্ভাবনের ফলে শিল্পের কৌশলগত দিকটি ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হবে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী রফতানি, গবেষণা ও উন্নয়নের দিকগুলিও বৃদ্ধি পাবে।
দ্য প্রিন্ট-এর কাছে ওপিপিআই প্রেসিডেন্ট সুরেশ পাত্তাথিল বলেন, “যদিও ভারতীয় ওষুধ শিল্পের ফোকাস এখন আকার-ভিত্তিক থেকে মান-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবাতে রূপান্তর, আমাদের প্রতিশ্রুতিও হল প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা এবং থেরাপির অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা।”
ঐতিহ্যগতভাবে, ভারতীয় ফার্মা কোম্পানিগুলি বিশ্বব্যাপী জেনেরিক বাজারে আধিপত্য বিস্তারকারী জেনেরিক ওষুধের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। বিশ্বব্যাপী জেনেরিক সরবরাহের ২০ শতাংশেরও বেশি পরিমাণে প্রতিনিধিত্ব করে ভারত। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভ্যাকসিনের জন্য বিশ্বব্যাপী চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ পূরণ করে এ দেশ।
জেনেরিক বাজারে প্রতিযোগিতা এবং মূল্য নির্ধারণের চ্যালেঞ্জগুলি ক্রমাগত বাড়ছে। যে কারণে, বেশ কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানি কম ঘনসন্নিবিষ্ট জটিল জেনেরিকের জায়গায় উদ্যোগী হতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ৩ বছরের বেশি পুরনো মামলায় নোটিশ দিতে পারবে না আয়কর বিভাগ, নির্দেশ হাইকোর্টের