বিবি ডেস্ক: গৃহঋণ (Home loan) পরিশোধ দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপার। সাধারণত, ১৫-২০ বছর ধরে এই ঋণ মেটাতে হয়। সময়মতো মাসিক কিস্তি (EMI) জমা করা বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ।
এই দীর্ঘ সময়ে অপ্রত্যাশিত কোনো কারণে ইএমআই মিস হয়ে যেতেই পারে। আর্থিক সমস্যার বহর তো কম নয়! কিন্তু সময়মতো ইএমআই না দেওয়ার কারণে ঋণগ্রহীতার ঘাড়ে চেয়ে যায় জরিমানার বোঝা। একই সঙ্গে প্রভাব পড়তে পারে ক্রেডিট কার্ডেও।
প্রথম বার ইএমআই জমা না করলে
বলে রাখা ভালো, কেউ যখন প্রথম বারের জন্য গৃহঋণে ডিফল্ট করেন, ঋণদাতা সাধারণত এসএমএস, ইমেল বা এমনকী কলের মাধ্যমে মাসিক কিস্তি কথা মনে করিয়ে দিয়ে একটি সতর্কতাবার্তা পাঠায়।
মাসিক কিস্তি জমা দিতে দেরি হল ব্যাঙ্ক লেট ফি বা জরিমানা চার্জও নিতে পারে। এই জরিমানাগুলি সাধারণত অতিরিক্ত বকেয়া পরিমাণের ১ -২ শতাংশ হয়। অর্থাৎ, ইএমআই-র টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত ওই টাকা মেটাতে হয়।
দ্বিতীয় বার ইএমআই দিতে ব্যর্থ হলে
যখন কেউ দ্বিতীয় বার ইএমআই দিতে ব্যর্থ হন, তখন ব্যাঙ্ক তাঁকে একটি রিমাইন্ডার পাঠাবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বকেয়া মাসিক কিস্তি মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলতে পারে।
এর পর ঘটনা যে দিকে এগোবে
এর পর যদি কেউ টানা তৃতীয় বার বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন, তা হলে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণটিকে একটি নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (NPA) হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারে।
এর পরে, ঋণদাতা ২০০২ সালের আর্থিক সম্পদের সুরক্ষা এবং পুনর্গঠন এবং সিকিউরিটিজ ইন্টারেস্ট অ্যাক্ট (SARFAESI)-এর অধীনে খেলাপির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শুরু করে।
ব্যাঙ্ক শীঘ্রই বকেয়া পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ৬০ দিনের মধ্যে বকেয়া নিষ্পত্তি করতে বলে ঋণগ্রহীতাকে আইনি নোটিশ পাঠায়।
বন্ধককৃত সম্পত্তির অধিকার দখল
গৃহঋণ আদতে একটি সুরক্ষিত ঋণ। কারণ, এই ঋণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাকে সম্পত্তি জামানত রাখতে হয়। ৬০ দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে না পারলে আইন অনুযায়ী, সেই জামানতের দখল নেওয়ার অধিকার রয়েছে ব্যাঙ্কের।
মনে রাখা ভালো, আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ব্যাঙ্ক ওই বন্ধককৃত সম্পত্তির অধিকারী হতে পারে। এক বার ৬০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে ঋণগ্রহীতা যদি মীমাংসা না করেন, তা হলে বন্ধককৃত সম্পদের নিলাম করার জন্য নোটিশ পাঠায় ব্যাঙ্ক।
আরও পড়ুন: টার্ম ইন্সিওরেন্স পলিসি কেনার আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন