“সত্যের জয় হল”, হিন্ডেনবার্গ মামলায় সুপ্রিম রায়ের পর মন্তব্য গৌতম আদানির

gautam adani

আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিরোধ সম্পর্কিত মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের। বিভিন্ন পিটিশনের উপর বুধবার রায় দেওয়ার সময় সিট-এর কাছে মামলার তদন্তভার স্থানান্তর করতে অস্বীকার করে সর্বোচ্চ আদালত। তিন মাসের মধ্যে এই মামলার তদন্ত শেষ করতে সেবি-কে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আদালত বলে, মামলার বাস্তবতা দেখলে মনে হয় না তদন্তটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা অন্য কোনো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা উচিত।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম চড়চড় করে বেড়েছে। আদানি গোষ্ঠী শেয়ারের দামে কারসাজি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে ২৪ নভেম্বর পিটিশনগুলির উপর নিজের রায় সংরক্ষণ করেছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ।

হিন্ডেনবার্গ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে গৌতম আদানি বলেছেন, “সত্যের জয় হল।” সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তিনি লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দেখিয়ে দিচ্ছে সত্যের জয় হয়েছে। সত্যমেব জয়তে। যাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। ভারতের এগিয়ে চলার প্রশ্নে আমাদের বিনম্র অবদান অব্যাহত থাকবে। জয় হিন্দ।”

এ দিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায় সেবি-র তদন্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। নিয়ামক সংস্থাই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।

বেঞ্চ বলেছে, সেবি-এর তদন্তে এফপিআই নিয়ম সম্পর্কিত কোনও অনিয়ম পাওয়া যায়নি। এই মামলায় আদালতের সীমিত ক্ষমতা রয়েছে যার ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, আদালত সেবি-র এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করবে না। ২৪টি মামলার মধ্যে ২২টিতে তদন্ত শেষ হয়েছে এবং এই বাকি ২টি মামলার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে আরও তিন মাস সময় দিয়েছে। আদালত বলেছে, সেবি-র তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও ত্রুটি পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ প্রশান্ত ভূষণ-সহ অন্য আবেদনকারীদের যুক্তি খারিজ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইউপিআই লেনদেনের নিয়ম বদল, জানুন আপনার উপর কী প্রভাব পড়বে

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.