
বৃহস্পতিবার সকালের লেনদেনে আচমকা ঊর্ধ্বগামী আদানি গ্রুপের (Adani group) শেয়ারগুলি। এর নেপথ্যে রয়েছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের দাবি খণ্ডন করে মরিশাসের এক মন্ত্রীর বক্তব্য। মরিশাসের আর্থিক পরিষেবা মন্ত্রী মহেন কুমার সেরুত্তুন সে দেশে কাজ করা শেল কোম্পানিগুলি সম্পর্কে হিন্ডেনবার্গের দাবি প্রত্যাখ্যানের পরই প্রভাব পড়তে শুরু করে আদানির স্টকগুলিতে।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন মরিশাসের মন্ত্রী। মরিশাসে আদানি গ্রুপের শেল (‘shell) কোম্পানিগুলির উপস্থিতির দাবিকে “মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন” বলে অভিহিত করেছেন তিনি। মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ নিজের রিপোর্টে মরিশাস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আদানি গ্রুপের শেল কোম্পানির উপস্থিতির অভিযোগ করেছিল।
মরিশাসে আদানি গোষ্ঠীর শেল কোম্পানির উপস্থিতি সম্পর্কে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেছিল সে দেশের আর্থিক পরিষেবা কমিশন। এর পর সংসদে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী জানিয়ে দেন, দ্বীপ রাষ্ট্রে ‘শেল’ কোম্পানির উপস্থিতি নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগ ‘মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন’। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি যদি মরিশাসে ব্যবসা করতে চায়, তাহলে মরিশাস সরকারের নির্ধারিত আইনি প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হয়।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, আদানি গ্রুপের ১০টি শেয়ারের দাম ওপেনিং বেলে বেড়েছে যেখানে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম বাজার খোলার কয়েক মিনিটের মধ্যে ৪ শতাংশ যোগ করে সর্বাধিক কেনাবেচা করেছে। আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পাওয়ার, আদানি ট্রান্সমিশন এবং এনডিটিভি বৃহস্পতিবার সকালের লেনদেনে প্রায় ২ শতাংশ লাভের মুখ দেখেছে। আদানি পোর্টসের শেয়ারের দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং আদানি উইলমারের শেয়ারের দাম প্রায় ১.৫০ শতাংশ বেড়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই আদানি গ্রুপের শেল কোম্পানিগুলি নিয়ে হইচই চলছে। এই পুরো বিষয়টিতে কাঠগড়ায় মূলত গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি (Vinod Adani)। সূত্রের খবর, বিদেশে বিনোদ আদানির তিনটি অনথিভুক্ত অর্থাৎ শেল কোম্পানি রয়েছে। দাবি করা হয়, এই তিনটি সংস্থার মধ্যে ক্রুণাল ইনভেস্টমেন্ট, গার্ডেনিয়া ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট নামের সংস্থা দুটি মরিশাস অবস্থিত। ইলেক্ট্রোজেন ইনফ্রা নামের একটি সংস্থা দুবাই অবস্থিত।
আরও পড়ুন: জীবনবিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি, উদ্বেগ বাড়ছে পলিসি হোল্ডারদের