জীবনবিমা পলিসির প্রিমিয়ামের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। খরচ বাড়ছে পলিসি হোল্ডারদের। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, জীবনবিমা করানোর ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য একটি বড়ো বিষয় হয়ে উঠছে। কারণ, ব্যয়বহুল জীবনবিমা সরাসরি মানুষের পকেটে প্রভাব ফেলছে।
সমীক্ষাটি চালিয়েছে হানসা রিসার্চ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। সমীক্ষকদের মতে জীবনবিমা পলিসি কেনার ক্ষেত্রে যে কোনো গ্রাহককে তিনটি বড়ো সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে আনুমানিক প্রয়োজনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা এবং সামর্থ্য, দুইয়ে মিলে জীবনবিমা করানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা।
সংস্থাটি বলেছে, সারা দেশে ৩ হাজার ৩০০ জন পলিসি হোল্ডারের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে এই সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। জীবনবিমা করানো এবং তা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পলিসি হোল্ডারদের কাছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২২ শতাংশ জানিয়েছে, বিমা কোম্পানি যোগাযোগ না করার জন্য নিজের পলিসি বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
এ প্রসঙ্গে ১০ জনের মধ্যে ৮ জন গ্রাহক বলেছেন যে প্রতি ছয় মাসে সংস্থার আঞ্চলিক ম্যানেজমেন্ট, এজেন্টের উচিত নিজেদের গ্রাহককে ফোন করা বা গ্রাহকের সঙ্গে দেখা করা।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, দেশীয় কোম্পানি এবং মোটর গাড়ির মালিকদের জন্য বিমা করা ব্যয়বহুল হতে পারে। কারণ বিশ্বব্যাপী বিমাকারী সংস্থাগুলি নিজেদের বিমার প্রিমিয়ামের হার ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারে। বিমা পুনর্নবীকরণের হার বৃদ্ধির কারণে দেশে প্রায় ১০ শতাংশ বিমা আরও ব্যয়বহুল হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতের জিডিপি হ্রাসের পূর্বাভাস, ৬ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করছে ফিচ
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.