এটিএম কার্ডে বিনামূল্যে পাওয়া যায় ৫ লক্ষ টাকার জীবনবিমা, জানুন কী ভাবে দাবি করবেন

atm card currency

সবার কাছে হয়তো ক্রেডিট কার্ড (Credit card) নেই। তবে দেশের প্রায় প্রত্যেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টধারীর কাছেই রয়েছে ডেবিট কার্ড (Debit card)। গত কয়েক বছরে, সেভিংস অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ধরে নেওয়া যেতে পারে দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ডেবিট বা এটিএম কার্ড রয়েছে।

এটিএম কার্ডে বিমা!

অধিকাংশ মানুষের কাছেই এটিএম কার্ড হল শুধুমাত্র টাকা তোলার মাধ্যম। যে কারণে আমরা সচরাচর এই কার্ডটিকে এর বাইরে আর গুরুত্ব দিই না। তবে জেনে রাখা ভালো,এটিএম কার্ডে বিনামূল্যে পাওয়া যায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জীবনবিমার সুবিধা। এই বিমার সুবিধা অনেকেই নেন না, কারণ তাঁরা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

আপনি যখন কোনও ব্যাঙ্কে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলেন, ব্যাঙ্ক আপনাকে এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড দেয়। মনে রাখবেন, ব্যাঙ্ক থেকে এই কার্ড ইস্যু করলেই আপনি অ্যাক্সিডেন্টাল ইন্স্যুরেন্স বা জীবন বিমা পাবেন। দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এসবিআই (SBI)-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ডেবিট কার্ড ধারককে ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমা (মৃত্যু) নন-এয়ার বিমা দেওয়া হয়।

কোনো ব্যক্তি যদি কমপক্ষে ৪৫ দিন ধরে একটি সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি কার্ডের সঙ্গে পাওয়া বিমা কভারের জন্য যোগ্য। কিন্তু এই সময়ের সীমা একেকটি ব্যাঙ্কে একেক রকম হতে পারে। আবার ডেবিট কার্ডের শ্রেণি হিসেবেও এই সীমা পরিবর্তিত হতে পারে।

বিমার পরিমাণ

বিমার টাকার পরিমাণ আপনার কার্ডের উপর নির্ভর করে। ধরুন একজন ব্যক্তির কাছে একটি এসবিআই গোল্ড (মাস্টারকার্ড/ভিসা) কার্ড আছে, তিনি ২ লক্ষ টাকার বিমা কভার পান।

এটিএম, পিওএস, ই-কমের মতো যেকোনো পেমেন্ট চ্যানেলের মাধ্যমে দুর্ঘটনার তারিখ থেকে আগের ৯০ দিনে কার্ডটি অন্তত একবার ব্যবহার করা হলে এই বিমা কভার পাওয়া যায়।

কী ভাবে দাবি জানাবেন

এই বিমা দাবি করা বেশ সহজ। ধরা যাক যদি কোনো ডেবিট কার্ডধারী দুর্ঘটনায় মারা যান, তা হলে সেই ব্যক্তির মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনি সেই ব্যাঙ্কে গিয়ে বিমা দাবি করতে পারেন।

কার্ডধারীর ডেথ সার্টিফিকেট, এফআইআর, কার্ডধারীর উপর নির্ভরশীলের শংসাপত্র ইত্যাদি-সহ ব্যাঙ্কে গিয়ে সেই মনোনীত ব্যক্তিকে একটি আবেদন জমা দিয়ে বিমার টাকার জন্য দাবি জানাতে হবে।

আরও পড়ুন: স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বাড়ল, জানুন কোন প্রকল্পে কত

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.