ক্রেডিট কার্ডে নতুন নিয়ম বাতিল করল কেন্দ্র, লাগবে না অতিরিক্ত টিসিএস

credit crad

বিদেশ সফরের সময় আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড (ICC) ব্যবহার করে করলে উৎসে সংগৃহীত কর (Tax Collected at Source) বা টিসিএস (টিসিএস) কাটা হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। যা নিয়ে বড়়োসড়ো বিতর্ক বেঁধে গিয়েছিল। শেষমেশ অর্থমন্ত্রকের জারি করা সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ ধরনের লেনদেনে টিসিএস আদায় করা হবে না।

ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট লেনদেন) বিধিমালা, ২০০০ সংশোধন করেছে কেন্দ্র। নির্দিষ্ট একটি সীমা অতিক্রম করার পরে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লিবারালাইজড রেমিট্যান্স স্কিম (LRS)-এর পরিধি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য এ ধরনের লেনদেন টিসিএস-এর আওতায় নিয়ে আসা হয়

জানানো হয়েছিল, বিদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার জন্য ২০ শতাংশ টিসিএস দিতে হবে। এক আর্থিক বছরে সাত লক্ষ টাকার বেশি খরচ করলে টিসিএস দিতে হবে। তবে চিকিৎসা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে এই চার্জ কম হবে। তবে শেষমেশ আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে অর্থমন্ত্রক।

বিধির সংশোধন প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যখন কোনো ব্যক্তি ভারতের বাইরে থাকাকালীন আইসিসি ব্যবহার করবেন, সেক্ষেত্রে তিনি এলআরএস-এর আওতায় পড়বেন না। অর্থাৎ, মন্ত্রকের বিধি সংশোধন করে যে নতুন নিয়ম আনা হয়েছিল, সেটাই বাতিল করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এলআরএস-এর আওতায় কোনো ভারতীয় প্রতি বছর আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিদেশে পাঠাতে পারেন। এর বাইরে যেকোনো রেমিট্যান্সের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। তাছাড়া এলআরএস-এর আওতাধীন রেমিট্যান্স সিটিএস-এর অধীন। ফলে এলআরএস-এর মধ্যে আইসিসি-র খরচ জুড়ে দিলে ব্যাঙ্কগুলির জন্য অনুমোদনের বোঝা বেড়ে যেত।

টিসিএস কী

উৎসে সংগৃহীত কর (TCS) হল একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবার জন্য বিক্রয়ের পরিমাণের উপরে বিক্রেতার আরোপিত একটি অতিরিক্ত কর। টিসিএস-এর পরিমাণ বিক্রয়ের সময় বিক্রেতা সংগ্রহ করেন। তারপর কর কর্তৃপক্ষের কাছে সেই টাকা জমা করা হয়। উল্লেখ্য, আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিল করার সময় ওই টিসিএস কোনো ব্যক্তির ট্যাক্স দায়বদ্ধতার (tax liability) সঙ্গে সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন: স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বাড়ল, জানুন কোন প্রকল্পে কত

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.