আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের করা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শেষ করতে পারেনি সেবি। সোমবারই তদন্তের ফাইনাল রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার কথা ছিল সেবির তরফে। তবে বাড়তি সময় চেয়ে নিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জালিয়াতি এবং শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে। তার পরে আদানি গ্রুপের সমস্ত কোম্পানির বাজার মূলধনে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বন্ড। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবি (SEBI)। অভিযোগের তদন্ত শেষ করার জন্য সেবি সোমবার সুপ্রিম কোর্টকে আরও ১৫ দিন সময় দেওয়ার অনুরোধ করেছে।
এ দিন রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল সেবি-র। তবে সংস্থার তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, তদন্তের আওতাধীন ২৪টি লেনদেনের মধ্যে ১৭টি তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করার জন্য অন্যান্য নিয়ন্ত্রক এবং বিদেশি উৎসের কাছ থেকে আরও তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে।
এর আগে গত মে মাসে, তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য সেবিকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে, তদন্ত সম্পূর্ণ করার জন্য ছয় মাস সময় চেয়েছিল সেবি।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক হিন্ডেনবার্গ জানুয়ারিতে ভারতের আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে৷ তবে আদানি গোষ্ঠী শুরু থেকে বারবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর শুধু আদানি গোষ্ঠী নয়, পুরো শেয়ার বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা খোয়াতে হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে রাজনীতিও।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানিয়েছিল, বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে। তাছাড়া তাদের শেয়ারের ভ্যালুয়েশনও মাত্রাতিরিক্ত। ফলে যে কোনো সময়ে ভেঙে পড়তে পারে তাসের ঘর। মার্কিন সংস্থার ভয়ানক রিপোর্টের পরেই টলে যায় আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার। সেই ঘটনায় আদানি গোষ্ঠী প্রকৃতপক্ষে সেবি-র নিয়মের ১৯ নম্বর ধারার কোনো ভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না এবং শেয়ারের দামে কোনো ভাবে কারচুপি হয়েছে কি না, সেই সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।