‘ফিনফ্লুয়েন্সার’ বা ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার আর্থিক প্রভাবকদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)। শুক্রবার একটি পরামর্শপত্র পেশ করেছে সেবি। যেখানে এ ধরনের প্রভাবকদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ব্রোকারদের।
ফিনফ্লুয়েন্সার নিয়ে কেন ভাবনা সেবির
আর্থিক বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে ফিনফ্লুয়েন্সার এবং মিডিয়ার একটা ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনার রেশ ধরে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সেবি। যদিও ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এক্স (আগের টুইটার) অথবা আরও অন্য কোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
পরামর্শপত্রটিতে অনিবন্ধিত সত্ত্বা বা ফিনফ্লুয়েন্সারদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা নিজেদের প্ল্যাটফর্মে নিজের অনুগামীদের আর্থিক বিনিয়োগের পরামর্শ (কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রলোভন) দিয়ে থাকে। তাদের বেছে দেওয়া পণ্য, পরিষেবা অথবা সিকিউরিটি কিনতে প্রলুব্ধ করে ওই ফিনফ্লুয়েন্সাররা। এমনটাও দেখা যায়, কোনো ফান্ড হাউস থেকে প্রচারের জন্য টাকা পেয়ে কোনো ফিনফ্লুয়েন্সার নির্দিষ্ট একটি মিউচুয়াল ফান্ড কেনার পরামর্শ দিচ্ছে।
সেবি বলেছে, ব্রোকার অথবা সংস্থার নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলি যে ফিনফ্লুয়েন্সারদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, তেমন উদাহরণ তাদের কাছে রয়েছে।
ফিনফ্লুয়েন্সার কারা
ফিনফ্লুয়েন্সারদের এমন ব্যক্তি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। যেমন সিকিউরিটিজ, ব্যক্তিগত বিনিয়োগ, ব্যাঙ্কিং পণ্য, বিমা, রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে তারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পরামর্শ দিয়ে থাকে। ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ফেসবুক, লিঙ্কডইন, টুইটার (বর্তমানে এক্স)-এর মাধ্যমে তারা প্রচার করে।
সেবির তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন আর্থিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক যেমন সেবি, আরবিআই, পিএফআরডিএ এবং আইআরডিএ-র নিজেদের নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্রগুলিতে ফিনফ্লুয়েন্সারদের কার্যকলাপ মোকাবিলা করতে পারে।
একইসঙ্গে সেবি বলেছে যে এই ফাইনফ্লুয়েন্সাররা বাজার নিয়ন্ত্রকের বেঁধে দেওয়া আচরণবিধিতে আবদ্ধ নয়। তাই তাদের কার্যকলাপে যে কোনো সম্ভাব্য স্বার্থে জড়িয়ে থাকতে পারে। যেমন তারা যে পণ্য, পরিষেবা, বা সিকিউরিটিগুলি প্রচার করে তার সঙ্গে তাদের কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে চাইছে ইপিএফও