ঊর্ধ্বমুখী শাকসবজি-সহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। যার স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা গিয়েছে জুলাই মাসে ভারতের ভোক্তা মূল্য সূচক বা কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI)-এ। সদস্য প্রকাশিত সরকারি রিপোর্ট বলছে, গত মাসে মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ৭.৪৪ শতাংশ। যা বিগত ৯ মাসের সর্বোচ্চ।
মূলত খাদ্য এবং শাকসবজির চড়া দামের আঁচ লেগেছে মূল্যস্ফীতিতে। পাঁচ মাসের মধ্যে এই প্রথম বার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) ৬ শতাংশের সহনশীলতা সীমা অতিক্রম করেছে সিপিআই। এর পাশাপাশি, তালমিলিয়ে বেড়েছে (জুলাইয়ে) ভোক্তা খাদ্য মূল্য সূচক বা কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স (CFPI)-ও।
এমনিতে বিশ্লেষকরা অনুমান করেছিলেন, জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ৬ শতাংশের সহনশীলতার সীমা অতিক্রম করবে সিপিআই। যদিও তার আগের মাসে, জুনে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি আগের বছরের নিরিখে ৪.৮১ শতাংশ নেমে এসেছিল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মে মাসে ওই সূচক নেমে এসেছিল ৪.১৫ শতাংশে। যা তার আগের ২৫ মাসের তুলনায় সব চেয়ে কম।
কিন্তু হাতে গোনা কয়েক মাসের মধ্যেই তার দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। এর মূল কারণ, মাসিক ভিত্তিতে সবজির দাম বেড়েছে ৩৮ শতাংশ, ফলমূলের দাম বেড়েছে ৪.৮ শতাংশ, ডালের দাম বেড়েছে ২.৪ শতাংশ। খাদ্যশস্যের দাম জুনের তুলনায় ১.২ শতাংশ বেড়েছে। সবজির সামগ্রিক খুচরো মূল্যস্ফীতির উপর ৬.০৪ শতাংশ বোঝা চেপেছে।
সম্প্রতি মুদ্রানীতি কমিটির (MPC) বৈঠকে নিজেদের সিপিআই-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের বার্ষিক গড় ৩০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫.৪% করেছে আরবিআই। জুনের বৈঠকে যা ছিল আনুমানিক ৫.১ শতাংশ। কিন্তুও টম্যাটোর মূল্য বৃদ্ধির ফলে তৈরি হওয়া টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের জন্য হেডলাইন মুদ্রাস্ফীতিতে সংশোধনের পরিমাণ ১০০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ৬.২% হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
আরও পড়ুন: কেওয়াইসি আপডেট করুন ঘরে বসে! ব্যাঙ্কের শাখায় যাওয়ার দরকার কী