কেওয়াইসি আপডেট করুন ঘরে বসে! ব্যাঙ্কের শাখায় যাওয়ার দরকার কী

KYC

কেওয়াইসি (KYC) আপডেটের জন্য যে কোনো ব্যাঙ্ক গ্রাহককে একটি ডিক্লেয়ারেশন দিতে হয়। কখনও কখনও কিছু পরিবর্তনের জন্যও এই ফর্মটি পূরণ করতে হয়। কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে কেওয়াইসি ফর্মটি পূরণ না করেন, তা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই কাজটি সেরে ফেলা উচিত। মনে রাখবেন, কেওয়াইসি না করলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার করতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

যদি কোনো গ্রাহক কেওয়াইসি আপডেট না করেন, তা হলে এটি তাঁর লেনদেনকেও প্রভাবিত করতে পারে। এ ছাড়া তাঁর অ্যাকাউন্ট কিছু সময়ের জন্য ব্লক হয়ে যেতেও পারে। সেই সময়ের জন্য গ্রাহক নির্দিষ্ট কিছু পরিষেবা ছাড়া বাকি আর কোনো পরিষেবা পাবেন না। তবে ব্যাঙ্ক যদি কোনো গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে, সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাপারে গ্রাহককে অবহিত করে।

কেওয়াইসি সম্পর্কে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) বলেছে, কোনো গ্রাহক যদি কেওয়াইসি আপডেট না করেন, তা হলে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্রাহক কেওয়াইসি আপডেট করার পর ওই অ্যাকাউন্ট ফের সক্রিয় করে দেওয়া হয়।

ঘরে বসে কেওয়াইসি!

এখন অনেকেই ব্যাঙ্কের কাজ অনলাইনে করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ডিজিটাল যুগে, নেট ব্যাঙ্কিং মানুষের কাজকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে, এখন আমরা অনলাইনেও কেওয়াইসি জমা করতে পারি। আগে শুধুমাত্র ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েই কেওয়াইসি জমা করা যেত। এখন কেওয়াইসি ফর্ম পূরণ করা খুব সহজ হয়ে গেছে। সেটা অনলাইন ব্যাঙ্কিং, মোবাইল অ্যাপ অথবা ব্যাঙ্কের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে করা যেতে পারে।

যেমন, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা https://www.hdfcbank.com/personal/useful-links/important-messages/re-kyc-update লিঙ্কে গিয়ে নিজের কেওয়াইসি আপডেট করতে পারেন। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা i-Mobile অ্যাপের মাধ্যমে কেওয়াইসি আপডেট করতে পারবেন।

কেওয়াইসি কী

কেওয়াইসি-র অর্থ হল “নো ইয়োর কাস্টমার” অর্থাৎ “আপনার গ্রাহককে জানুন”। ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক নয় এমন কোনো আর্থিক সংস্থা-সহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সংস্থায় অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে গ্রাহক শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার জন্য এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন: গ্রামীণ জনসংখ্যার মাত্র ২৫ শতাংশ আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষবা পান, জানাচ্ছে সমীক্ষা

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.