
মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জালিয়াতি এবং শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে। তার পরে আদানি গ্রুপের সমস্ত কোম্পানির বাজার মূলধনে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বন্ড। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবি (SEBI)। জানা গিয়েছে, তদন্ত শেষ করার জন্য আদালতের কাছ থেকে বাড়তি সময় চাইতে পারে সেবি।
দেশটির শীর্ষ আদালতকে বিলিয়নেয়ার গৌতম আদানির সমষ্টির বিরুদ্ধে সংক্ষিপ্ত বিক্রেতা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগের তদন্ত শেষ করার জন্য আরও সময় দিতে চাইতে পারে, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে।
রিপোর্ট অনুসারে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া ২ মে সুপ্রিম কোর্টে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করবে। তবে সেবির তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক হিন্ডেনবার্গ জানুয়ারিতে ভারতের আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে৷ তবে আদানি গোষ্ঠী শুরু থেকে বারবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর শুধু আদানি গোষ্ঠী নয়, পুরো শেয়ার বাজারে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা খোয়াতে হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে রাজনীতিও।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ জানিয়েছিল, বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে। তাছাড়া তাদের শেয়ারের ভ্যালুয়েশনও মাত্রাতিরিক্ত। ফলে যে কোনো সময়ে ভেঙে পড়তে পারে তাসের ঘর। মার্কিন সংস্থার ভয়ানক রিপোর্টের পরেই টলে যায় আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার। সেই ঘটনায় আদানি গোষ্ঠী প্রকৃতপক্ষে সেবি-র নিয়মের ১৯ নম্বর ধারার কোনো ভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না এবং শেয়ারের দামে কোনো ভাবে কারচুপি হয়েছে কি না, সেই সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কের শাখায় না গিয়ে কী ভাবে এসবিআই নেট ব্যাঙ্কিং অ্যাক্টিভেট করবেন?