বিবি ডেস্ক: দেশ ক্রমশ এগিয়ে চলেছে ৫জি (5G) নেটওয়ার্কের দিকে। এই অগ্রগতি যত দ্রুত হচ্ছে, ততই দ্রুতগতিতে হচ্ছে আরও একটি কাজ— আর তা হল দেশের প্রতিটি বাতিস্তম্ভ, ট্র্যাফিক সিগনাল, বাস প্রতিক্ষালয় এবং বাস স্ট্যান্ড গণনার কাজ।
আসছে ৫জি, চলছে বিশেষ গণনার কাজ
এখনও পর্যন্ত এই গণনার কাজে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাত। এই দু’টি রাজ্য এই পর্বতপ্রমাণ কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে। কাজে গতি আনতে বাকি রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে কেন্দ্র।
ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (DPIIT)-এর অন্তর্গত টিম গতি শক্তির একটি বিশেষ শাখা দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যকে সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে চারটি জিনিসের সংখ্যা সম্বন্ধে বিশেষ তথ্য জানতে চেয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে রাজ্যে মোট কতগুলি বাতিস্তম্ভ, ট্র্যাফিক সিগনাল, বাস প্রতিক্ষালয় ও বাস স্ট্যান্ড এবং সরকারি ভবন রয়েছে। মন্ত্রকগুলির মধ্যে হওয়া এক বিশেষ আলোচনায় এই সব তথ্য জানতে চেয়েছ কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক।
কেন এই বিশেষ গণনা?
কিন্তু রাজ্যগুলির কাছে কেন এই তথ্য জানতে চাইছে কেন্দ্র? এর কারণ হল ৫জি। দেশে ৫জি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের পাখির চোখ স্মল সেল প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত ছোট সেলগুলি সহজে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এগুলির ক্ষমতা বেস স্টেশন থেকে কয়েক মিটার থেকে কয়েকশো মিটার মাত্র। এর ফলে খুব ঘন ভাবে এগুলি বসাতে হবে। আর এর ফলেই নজরে বাতিস্তম্ভের মতো পরিকাঠামো।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক মধ্যপ্রদেশে এই প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষার জন্য পাইলট প্রজেক্টের কাজ করেছে। সম্প্রতি জাতীয় ব্রডব্যান্ড মিশন এই প্রকল্পের জন্য বাতিস্তম্ভ ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে। তারাই ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (DPIIT)-কে এই চারটি পরিকাঠামো গণনার দায়িত্ব দিয়েছে। সরকারের লক্ষ্য, পারথমিক ভাবে দেশের ১৫টি শহরে ৫জি (5G) পরিষেবা শুরু করা। এর পর ধীরে ধীরে দেশ জুড়ে শুরু হবে পরিষেবা। পূর্ণ মাত্রায় দেশে ৫জি (5G) চালু হলে খরচ অনেক কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে আবারও মূল সুদের হার বাড়াতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা?