গৃহঋণ (home loan) একটা বড়ো দায়। মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সময়মতো মাসিক কিস্তি (EMI) মিটিয়ে যেতে হয়। এরই মধ্যে বেশ কয়েক বার মূল সুদের হার (repo rate) বাড়িয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)।
মেয়াদ
বিশেষজ্ঞদের মতে, গৃহঋণের বোঝা কমাতে দীর্ঘ মেয়াদ এড়িয়ে চলতে হবে। ২০ অথবা ৩০ বছরের পরিবর্তে মাত্র ১০ থেকে ১৫ বছরের মেয়াদ বেছে নিন।
এতে মাসিক কিস্তি বাড়বে ঠিকই, কিন্তু সুদবাবদ প্রদেয় টাকার পরিমাণ অনেক কমে যাবে। পাশাপাশি, কম সময়ের মধ্যেই ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে।
ইএমআই
ঋণের পরিমাণ কমাতে আপনি নিজের ইএমআই বাড়ানোর কথা ভাবতে পারেন। যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঋণ পরিশোধ করা যায়।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০ বছরের জন্য ৭.৫ শতাংশ হারে ৪০ লক্ষ টাকার গৃহঋণের ইএমআই ৫ হাজার টাকা বাড়ালে সুদের খরচে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বাঁচানো যায়।
প্রিপেমেন্ট
নির্ধারিত মাসিক কিস্তির বাইরেও বাড়তি টাকা মেটানো যায়। ফলে যখনই সম্ভব হবে, তখনই প্রিপেমেন্ট করতে পারেন। এ ভাবে ঋণের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মিটিয়ে দিতে পারলে বোঝা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋণের অগ্রিম পরিশোধ তখনই করা উচিত যখন আপনার কাছে অতিরিক্ত টাকা থাকবে। এ ভাবে আরও কিছুটা আগে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি আয়ের রিপোর্ট কী ভাবে করবেন