টম্যাটোর দাম বেড়ে ৫ গুণ! কী কারণে

tomato

জয়পুর: ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়-এর কারণে ভারী বৃষ্টিপাত-সহ বিভিন্ন কারণে রাজস্থানের অনেক অংশে টম্যাটোর পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। পাইকারি বিক্রেতাদের মতে ঘূর্ণিঝড় এবং বর্ষা শুরু হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে টম্যাটোর দাম চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়েছে।

নষ্ট হয়ে গেছে ফসল

তবে শুধুমাত্র টম্যাটো নয়, সব সবজির দামও এক থেকে দুই গুণ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন পাইকারি বিক্রেতারা। জয়পুরের মুহানা মান্ডিতে সবজির পাইকারি বিক্রেতা গুরুকৃপার ওম প্রকাশ জৈন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়-এর জেরে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে স্থানীয় কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে এবং তা স্থানীয় বাজারে পৌঁছায়নি।

১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি

দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড এবং অন্যান্য রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। নয়াদিল্লির আইটিও এবং অন্যান্য এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সম্প্রতি সারা দেশের বাজারে টম্যাটোর দাম কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-১২০ টাকায় পৌঁছেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে টম্যাটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

চাহিদা ও জোগানে ফারাক

পাইকারি ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় না থাকার কারণে এ ভাবে লাফিয়ে বাড়ছে টম্যাটোর দাম। আগামী দিনে পরিস্থিতির বদল না হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

কবে আয়ত্তে আসবে

পশ্চিমবঙ্গে বাজার সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের প্রধান রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, রাজ্যে রাঁচী থেকেও প্রচুর টম্যাটো আসে। সেখানেও গরমের কারণে টম্যাটো কম হয়েছে। এই জোড়া কারণেই রাজ্যের পাইকারি বাজারে টম্যাটোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দাম সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসবে।

টম্যাটো গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ

টম্যাটোর দামের আকস্মিক বৃদ্ধি মোকাবিলায় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ৩০ জুন ‘টম্যাটো গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ চালু করবে। উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণের উন্নতির জন্য উদ্ভাবনী ধারণা সংগ্রহ করতে চায় সরকার। মন্ত্রক বলেছে, ‘আমরা পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও একই রকম চ্যালেঞ্জ শুরু করেছি। এ বিষয়ে প্রায় ৬০০টি ধারণা পাওয়া গেছে। যেগুলির মধ্যে ১৩টি ধারণা নিয়ে এখন বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন’।

আরও পড়ুন: 2000 currency exchange: এক মাসে জমা পড়ল দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ২০০০ টাকার নোট

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.