নয়াদিল্লি: দেশে টম্যাটোর দাম (Tomato price) প্রতিদিন নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছে। শেষ কয়েক দিন ধরে কেজি প্রতি ১০০ টাকার আশেপাশে ঘুরছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে নতুন একটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
টম্যাটোর দাম কমাতে কী পদক্ষেপ
জানা গিয়েছে, টম্যাটো উৎপাদনকারী রাজ্য থেকে আরও টম্যাটো সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই সংগ্রহ করা টম্যাটো বিক্রি করা হবে প্রধান বিক্রিয় কেন্দ্রগুলিতে। যার ফলে কম দামে টম্যাটো কিনতে পারবে সাধারণ মানুষ।
ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন (NAFED) এবং ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন (NCCF)-কে টম্যাটো সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র থেকে টম্যাটো সংগ্রহ করা হবে।
টম্যাটোর দামে ভর্তুকি
একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন স্টকগুলি শুক্রবারের মধ্যে আরও কম দামে দিল্লি-এনসিআরের গ্রাহকদের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রাথমিক ভাবে দিল্লি-এনসিআর এলাকার গ্রাহকদের কাছে ভর্তুকি দেওয়া টম্যাটো বিক্রি হবে শুক্রবার থেকেই। আউটলেটের মাধ্যমে এই টম্যাটো বিক্রি হবে।
প্রক্রিয়ায় খরচের মাত্রাও বিবেচনা করা হয়েছে। গত এক মাসে টম্যাটোর খুচরো মূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার চেয়ে কিছুটা কম দামেই সংগ্রহ করা টমেটো বিক্রি করা হবে।
কেন দাম আকাশছোঁয়া টম্যাটোর
ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই কম-বেশি টম্যাটো উৎপাদিত হয়। তবে দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে। তাদের উদ্বৃত্ত পণ্য ভারতের অন্যান্য অংশে সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় না থাকার কারণে এ ভাবে লাফিয়ে বাড়ছে টম্যাটোর দাম। আগামী দিনে পরিস্থিতির বদল না হলে দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
তবে শুধুমাত্র টম্যাটো নয়, সব সবজির দামও এক থেকে দুই গুণ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন পাইকারি বিক্রেতারা। কয়েক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়-এর জেরে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে স্থানীয় কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে এবং তা স্থানীয় বাজারে পৌঁছায়নি।