বিবি ডেস্ক: বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার আগে কিছু বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। যাতে আপনি ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে পারেন। জালিয়াতি এড়ানোর জন্য সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করার আগে এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
অর্থসংস্থান
নিজের একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাটের জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। স্বপ্ন পূরণে উজাড় করে দিতে হয় সঞ্চয়। পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে নির্ভর করতে হয় ব্যাঙ্কের ঋণের উপর। নির্দিষ্ট অংক ডাউন পেমেন্ট করার পর বাকিটা মাসিক কিস্তিতে (EMI) পরিশোধের সুবিধা। কিন্তু এর জন্যও আপনাকে প্রথমে জেনে নিতে হবে পূর্ণাঙ্গ তথ্য।
যেমন, গৃহঋণে (home loan) কত টাকা পাওয়া যাবে, এবং অবশ্যই তার উপর সুদের হার কত? আজকাল ইন্টারনেটে গৃহঋণের মেয়াদ, ইএমআই এবং ঋণের ধরন নিয়ে যাবতীয় তথ্য মিলে যায়। তবে সেগুলো যাচাই করে দেখে নিতে হবে। আপনি যত দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নেবেন, আপনার ইএমআই তত কম হবে। তবে এতে আপনাকে সুদ দিতে হবে অনেক বেশি।
অবস্থান
কেনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ঠিক করে নিন কোন জায়গায় সেটা কিনবেন। সেই জায়গার যাতায়াত ব্যবস্থা, আশেপাশের এলাকায় পার্ক, স্কুল, হাসপাতালের মতো সামাজিক পরিকাঠামোর সুবিধা রয়েছে কিনা, সে সবও দেখতে হবে। এর পাশাপাশি খেলার মাঠ, ক্লাব হাউস, সুইমিং পুল ইত্যাদিও আছে কি না, প্রয়োজনে দেখে নিতে হবে।
বিক্রেতা
কার কাছ থেকে ওই সম্পত্তি কিনছেন? বাড়ি হলে বাড়ির মালিক আর ফ্ল্যাট হলে ডেভেলপার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিন। বিশেষ করে, ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ডেভেলপারের ট্র্যাক রেকর্ড জেনে নিতে ভুলবেন না। এর আগে ওই ব্যক্তি বা সংস্থা আর কোথায় নির্মাণ করেছেন, সময় মতো ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে পারবেন কি না, ইত্যাদি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখুন।
কাগজপত্র
আপনি যে সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন তার আইনি কাগজপত্র যাচাই করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। না বুঝলে আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে একটু বাড়তি টাকা খরচ করতে হতে পারে। কিন্তু বড়ো অংকের অর্থ বিনিয়োগের আগে এই কাজটি আপনাকে ভবিষ্যতে আইনি ঝামেলা এড়াতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: রেকারিং ডিপোজিট কী? অনলাইনে কী ভাবে করবেন এই প্রকল্প