করোনা মহামারির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত আবাসন শিল্পকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য ২০২১ সালের বাজেটে স্ট্যাম্প ডিউটি, সার্কল রেটে ছাড় দেওয়ার কথা প্রথমবার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই ধাপে ধাপে এই মেয়াদ বৃদ্ধি। চলতি বছরের মার্চেই এই জোড়া ছাড় শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এ বারের বাজেটেও তা আরও কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
মেয়াদ বাড়ানোর কারণ
নতুন করে বলার নয়, এই ছাড়ের ফলে একদিকে যেমন সাধারণ ক্রেতারা লাভ হয়েছেন, তেমনই লাভবান হয়েছে রাজ্যের কোষাগারও। বিপুল সংখ্যক ক্রেতারা রেজিস্ট্রি করায় কোষাগারেও এসেছে টাকা। বুধবার রাজ্য বাজেট পেশের সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, “রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে রাজ্যে আবাসন শিল্পে জোয়ার এসেছে”।
এই সুবিধার ফলে জমি-বাড়ি কেনায় অনেকটা অর্থ সাশ্রয় হবে আম জনতার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আবাসন ক্ষেত্র। তাদের মতে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বাজেটে এই ছাড় বড়ো প্রভাব ফেলবে আবাসন ক্ষেত্রে।
কত দিন মিলবে ছাড়
এর আগেই স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সার্কল রেটে ছাড় দেওয়া হয়েছিল ১০ শতাংশ। এ বারের বাজেটে এই দুই ছাড়ের মেয়াদই বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, আরও ৬ মাস মিলবে এই ছাড়। অর্থাৎ, এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্ট্যাম্প ডিউটি এবং সার্কল রেটে ছাড় বজায় থাকবে। এই সময়কালের মধ্যে যাঁরা জমি-বাড়ি কিনবেন, তাঁরা রেজিস্ট্রি করানোর সময় এই বিশেষ ছাড়ের সুবিধা নিতে পারবেন।
স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেট
বলে রাখা ভালো, জমি, বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে জমি বা ফ্ল্যাটের দামের উপর নির্ণয় করা হয় স্ট্যাম্প ডিউটি। কোনো এলাকায় জমি বা সম্পত্তি সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম যে দামে নথিভুক্ত হয়, তাকে বলে সার্কল রেট। অর্থাৎ, এই জোড়া ছাড়ের জেরে রাজ্যে জমি, ফ্ল্যাট বা বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা হলেও কমবে।
আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়াল এসবিআই