গৃহঋণ (Home loan) পরিশোধ দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপার। সাধারণত, ১৫-২০ বছর ধরে এই ঋণ মেটাতে হয়। সময়মতো মাসিক কিস্তি (EMI) জমা করা বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময়, কিছু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি বা অন্যান্য আর্থিক সংকটের কারণে, কেউ ইএমআই মিস করতেও পারেন। কিন্তু বারবার সময় মতো ইএমআই দিতে না পারা খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ক্রেডিট স্কোরে অবনমন
ইএমআই ডিফল্ট প্রায়শই ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট স্কোর হ্রাস করে। যেহেতু ক্রেডিট স্কোর কোনো ব্যক্তির গৃহঋণের যোগ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, তাই এই ধরনের খেলাপি অন্য অন্য কোনও ঋণ পেতেও অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সহ-আবেদনকারীদের উপর প্রভাব
এই ধরনের ঋণ খেলাপের প্রভাব সাধারণত সহযোগী আবেদনকারীদের উপরও পড়ে। কারণ, এটা শুধুমাত্র মূল আবেদনকারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইএমআই দিতে ব্যর্থ হলে ক্রেডিট স্কোর কমে যায়।
লেট পেমেন্ট চার্জ
দেরিতে ইএমআই মেটালে লেট পেমেন্ট পেনাল্টি দিতে হয়। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে এই জরিমানার পরিমাণ আলাদা হতে পারে। ফলে ঋণ নেওয়ার সময় এই বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি।
অন্য সুযোগ হাতছাড়া
ইএমআই পেমেন্টের একটি ভালো ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রাখলে কেউ ভবিষ্যতে বিভিন্ন ঋণের বিকল্প যেমন টপ-আপ লোন, ব্যক্তিগত ঋণ, ইনস্ট্যান্ট লোন ইত্যাদির বাড়তি সুযোগ পেতে পারেন। কিন্তু সময়মতো ইএমআই দিতে ব্যর্থ হলে আপনার কাছ থেকে এই অফারগুলি কেড়ে নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: এ বার অনলাইনেই সস্তায় সম্পত্তি কেনার সুযোগ মিলবে, আসছে মোবাইল অ্যাপ
