বিবিডেস্ক: গতশুক্রবার কেন্দ্র কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। সাম্প্রতিক অতীতে অন্যতম সাহসী সংস্কার হিসাবে চিহ্নিত হওয়া যাওয়া এই ঘোষণা শেয়ার বাজারে টর্নেডো তুলে দেয় সে দিন। কিন্তু তার রেশ আর চিরকালীন নয়। তা হলে কত দিন?
সে দিন সকালে দেশীয় ইক্যুইটি বাজার তার আগের কয়েকটি কেনাবেচার দিনের মতোই অতিসাধারণ ভাবে খুলেছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ঘোষণার পরই বাজারের সমস্ত সূচকে ঝড় বয়ে যায়। ওই ঘোষণাটি একটি মারাত্মক শর্ট-কভারিং পদক্ষেপকে সূচিত করেছিল। এনএসই-র ৫০ স্টকের সূচক নিফটি গত এক দশকে এক দিনের সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি অর্জন করেছে ওই দিন।
আসলে বাজারে স্বাভাবিকের চেয়ে বড়ো পদক্ষেপের বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত প্রতিক্রিয়া বরাবরই দেখা যায়। কর্পোরেট কর হ্রাসের ঘোষণায় সেটাই হয়েছে।
তার আগে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কাকে সঙ্গী করে বাজারে চলছিল চরম টানাপোড়েন। কিন্তু এই ঘোষণার পরেই শেয়ার বাজারের সমস্ত সূচক চড়চড়িয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। সেনসেক্স থামে ৩৮,০১৪.৬২ পয়েন্টে। বেলা শেষে সেনসেক্সের দখলে যায় ১,৯২১ (৫.৩২ শতাংশ) পয়েন্ট। অন্য দিকে বাজার বন্ধের সময় নিফটি দাঁড়িয়ে ছিল ১১,২৭৪.২০ পয়েন্টে। এক দিনে ৫৬৯.৪০ (৫.৩২ শতাংশ) পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে নেয় নিফটি।
শিরোনাম সূচকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১০,৬৫০-১০,৭৮০ সাপোর্ট অঞ্চলকে সুরক্ষিত করেছে, এবং বেয়ারিশ পরিণতি থেকে বেঁচে গেছে, যা গোলাকার শীর্ষ গঠনের পরে নেতিবাচক লঙ্ঘনের পরে আসতে পারে।
একই সঙ্গে মাথায় রাখা দরকার, এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে এ জাতীয় বিশাল পদক্ষেপটি বাজারকে আবারও একত্রীকরণের দিকে ঠেলে দিতে পারে, এমনকি সামনের কেনাকাটার দিনগুলিতে তা প্রয়োজনে নীচের দিকেও নামতে পারে।
সোমবারের নিফটিতে সম্ভবত ১১,৩৮০ এবং ১১,৪৩৫ পয়েন্ট রেজিস্ট্যান্স হিসাবে কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে। অন্য দিকে ১১,২০০ এবং ১১,১৩০ পয়েন্ট হতে পারে নিফটির সাপোর্ট।