বিবি ডেস্ক: লাভ এবং ক্ষতির মধ্যে ঝুলছে ভারতীয় শেয়ার বাজারের মূল সূচকগুলি। সোমবার প্রি-ওপেনিংয়ে লাল দাগেই খোলে বাজার। পরে অবশ্য বদলে যায় সবুজে। সবমিলিয়ে চরম অস্থিরতার ছবি এ দিনের স্টক মার্কেটে।
সেনসেক্স-নিফটির জোর ওঠানামা
বাজার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় ১,১০০ পয়েন্টের ওঠানামা দেখেছে সেনসেক্স। একটা সময় যেখানে ৫৮,৪৮৭-তে পতন, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের ৫৯,২৭৭-এ লাফ। নিফটি-তেও ২ শতাংশের উপর-নীচ। ৫০ স্টকের এই সূচক পড়ে গিয়েছিল ১৭,৪২৯-এ। তবে নিমেষে ১৭,৬৬৬-এ পৌঁছে যায় চরম অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে।
শুক্রবার অভ্যন্তরীণ অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে উইন্ডফল ট্যাক্স কমানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন, উল্লেখযোগ্য ভাবে, অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনের শেয়ার ১.৪ শতাংশ বেড়েছে।
প্রাথমিক ট্রেডিংয়ে পিছিয়ে ছিল আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, এশিয়ান পেইন্টস, টাইটান, ডা. রেড্ডিস, টাটা স্টিল, এইচসিএল টেকনোলজিস, মারুতি এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। তবে ইতিবাচকতা দেখা গিয়েছে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, ইনফোসিস, বাজাজ ফিনসার্ভ এবং এসবিআই-এর ক্ষেত্রে।
বাজারের প্রবণতা কোন দিকে
এই অস্থিরতার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার মন্দা প্রভাব ফেলছে ভারতীয় বাজারে। চলতি সপ্তাহেই হতে পারে বড়োসড়ো পরিবর্তন। মার্কিন বাজারে ৭৫ পয়েন্ট ফেড-রেট বৃদ্ধির আশংকায় ইতিমধ্যেই চিন্তা বেড়েছে ভারতীয় স্টক মার্কেটে।
তাঁদের মতে, ২১ সেপ্টেম্বর মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি ঘোষণার পরেই বাজার সিদ্ধান্তমূলক প্রবণতা দেখাতে পারে। স্বল্পমেয়াদি নেগেটিভ প্রবণতা দেখা দিতে পারে। অনেকেই কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন। সেই কৌশলের কাজ করার সম্ভাবনা এখন কম।
আরও পড়ুন: তিন বছরে এক হাজার কোটি! কঠিন লক্ষ্যে নতুন লড়াই শুরু কলকাতার বাঙালি সংস্থার