শেয়ার বাজারে কেনাবেচার জন্য বাড়তি সময় মিলবে। ইন্টারেস্ট রেট ডেরিভেটিভের (interest rates derivatives) জন্য বাজারের ট্রেডিংয়ের সময় বাড়িয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE)। জানানো হয়েছে, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেনাবেচা করা যাবে। এতে সুবিধা এবং অসুবিধাই বা কী?
ট্রেডিংয়ের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এই পদক্ষেপ একটি পুরনো বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি বাজারের স্টেকহোল্ডারদের জন্য সুবিধাজনক হবে কিনা, সেটাই সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন। যদিও বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তটি খুচরো বিনিয়োগকারীদের বাজার-পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া বৈশ্বিক ইভেন্টগুলিকে পুঁজি করতে সাহায্য করতে পারে। এর থেকে তাঁরা উপকৃত হতেও পারেন। তবে ব্রোকারেজ হাউসগুলির জন্য ব্যয়ের বোঝা, কাজের গতি হ্রাস পাওয়া এবং সময়ের সংকট প্রায় নিশ্চিত।
তবে শেয়ার বাজারে কেনাবেচার সময় বৃদ্ধি এই প্রথম বার নয়। এর আগেও একাধিক বার এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরেও, বাজার নিয়ন্ত্রক কেনাবেচার সময় বাড়ানোর জন্য একটি অগ্রিম অনুমতি দিয়েছিল। ঘোষণার পরপরই, ভারতের দু’টি প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ, বিএসই এবং এনএসই, একে অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে পড়ে। বাজারগুলি সকাল ৯ টায় বা স্বাভাবিক বাজার খোলার সময় খোলা হবে কিনা তা নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু উচ্ছ্বসিত সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। সে সময় সকাল ৯:৫৫ মিনিটে খুলত এনএসই। তারা সকাল ৯টায় বাজার খোলার জন্য ব্যাট ধরে। জিতেও যায়। সে সময় থেকেই ভারতীয় বাজারগুলি সকাল ৯টায় খুলছে৷
২০১৮ সালের অক্টোবরে আরেকটি বড়ো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সে বার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে লেনদেনের জন্য ইক্যুইটি ডেরিভেটিভগুলির জন্য পথ পরিষ্কার করে। কারেন্সি ডেরিভেটিভস মার্কেট এবং কমোডিটি মার্কেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্রেড করে, কারেন্সি মার্কেটগুলি ইতিমধ্যে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত লেনদেন করে। পাশাপাশি, কমোডিটি মার্কেটগুলি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ ঘন্টা, সকাল ৯টা থেকে রাত ১১.৫৫ মিনিট পর্যন্ত ট্রেড করে।
সবমিলিয়ে বাজারের কিছু অংশে ইতিমধ্যেই বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্রেডিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন এই পদক্ষেপও মোটেই সমস্যাজনক নয়। কিন্তু ট্রেডিংয়ের সময় বেড়ে যাওয়ার জন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলিকেও নিজেদের আনুষঙ্গিক বহর বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘অন্যায়, অগ্রহণযোগ্য’, উইপ্রো ফ্রেশারদের বেতন কমানোর পরে ক্ষোভ কর্মী সংগঠনের