ফের রক্তক্ষরণ! উদ্বেগ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে শেয়ার বাজারে

stock market

মাসিক ফিউচার অ্যান্ড অপশন (F&O)-এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বুধবার বড়োসড়ো পতন সেনসেক্স এবং নিফটি-তে। ভারতীয় শেয়ার বাজারের এই দুই অন্যতম সূচকই এ দিন ১.৫ শতাংশের বেশি পড়ে যাওয়ায় বাজার রক্তক্ষরণের সাক্ষী হল এ দিন।

বিনিয়োগকারীদের চরম অনিশ্চয়তা চেপে ধরে হু হু করে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়। আরবিআই এবং ফেড রিজার্ভের রেট বৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে বিনিয়োগকারীরা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি কী পদক্ষেপ নেবে, সে দিকেই তাকিয়ে তাঁরা। ব্যাঙ্কিং, আইটি, মেটাল, এনার্জি এবং ফিনান্সিয়াল স্টকগুলিতে উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে। হেভিওয়েট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, বাজাজ এবং এইচডিএফসি -র জোড়া স্টক বাজারকে আরও নীচে টেনে নামিয়েছে।

মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ছিল ৬৯,৬৭২-এ। বুধবার অনেকটাই নীচে নেমে মুখ দেখায় সেনসেক্স। এ দিন বাজার খোলার সময় সেনসেক্স নেমে যায় ৬০,৩৯১-এ। একটি সময়ে নেমে যায় ৫৯,৬৮১-র খাদে। সারা দিনে আর একটিবারের মতোও মুখ তুলে দাঁড়াতে পারেনি ৩০ স্টকের এই সূচক। দিনের শেষে ৯২৭ পয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ পড়ে বন্ধ হয় ৫৯,৭৪৪-এ।

একই অবস্থা ৫০ স্টকের সূচক নিফটি-তেও। আগের দিনের ১৭,৮২৬ থেকে এ দিন ২৭২ পয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ পড়ে গিয়ে নিফটি থিতু হয়েছে ১৭,৫৫৪-তে। বলে রাখা ভালো, সেনসেক্স এবং নিফটি গত বছরের ১৯ অক্টোবরের পর থেকে এই প্রথম নিজেদের সর্বনিম্ন স্তরে বন্ধ হয়েছে।

সেনসেক্সে সবুজে থাকা একমাত্র স্টক হল আইটিসি , তবে বাজার নিম্নমুখী থাকার কারণে এর ঊর্ধ্বগমনও সীমিত ছিল। বাজাজ এবং এইচডিএফসি- স্টকগুলির লোকসান অনেক বেশি। বাজাজ ফাইন্যান্স প্রায় ২.৯ শতাংশ কমেছে। যদিও এর মূল কোম্পানি বাজাজ ফিনসার্ভ ২.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আরও, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং এইচডিএফসি প্রায় ২ শতাংশ করে কমেছে। পিছিয়ে থাকা স্টকগুলির মধ্যে অন্যতম মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, যা প্রায় আড়াই শতাংশ কমেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন বাজারের মন্দা রাতারাতি ঝাঁকিয়ে দিয়েছে ভারতীয় স্টকগুলিকে। বিক্রির হিড়িক পড়ে যাওয়ায় সেনসেক্স, নিফটি বিপর্যস্ত। ক’দিন ধরেই বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত। তবে আজকের চওড়া পতন এগিয়ে যাওয়া সুদের হার বৃদ্ধি, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈশ্বিক বৃদ্ধি মন্থর করার চাপের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

আরও পড়ুন: কেনাবেচার সময় বাড়ল শেয়ার বাজারে, সুবিধা ও অসুবিধা…

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.