শেষ চার মাস ধরে সমানে ঊর্ধ্বমুখী যাত্রা। আর শেষ দু’দিনে পাহাড়প্রমাণ পতন। ভারতীয় শেয়ারবাজারে বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের কেনাবেচায় বেশ চিন্তিত দালাল স্ট্রিট।
শেষ দু’দিনের মধ্যে ১,২০০ পয়েন্টের খুইয়েছে সেনসেক্স। অন্য দিকে, নিফটি আজ ১৯,৪০০ স্তরের নীচে থিতু হয়েছে। দুই দিনের বিক্রিতে, বিনিয়োগকারীরা ৪.৪ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছেন। কারণ বিএসই তালিকাভুক্ত সমস্ত স্টকের মোট বাজার মূলধন ৩০২.৩৬ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
দিনের শেষে ৫৪২.১০ পয়েন্ট খুইয়ে ৬৫,২৪০.৬৮-এ থিতু হয়েছে সেনসেক্স। অন্য দিকে, নিফটি-ও পরিস্থিতি অনেকটা সামলে নিয়ে ১৪৪.৯০ পয়েন্ট হারিয়ে দাঁড়িয়ে রইল ১৯,৩৮১.৬৫-তে। আগের কেনাবেচার দিনের শেষে ৬৭৬ পয়েন্ট খুইয়ে ৬৫,৭৮২.৭৮-এ থিতু হয়েছিল সেনসেক্স। অন্য দিকে, নিফটি-ও ২০৭ পয়েন্ট হারিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ১৯,৫২৬.৫৫-য়।
রিয়েলটি, ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক স্টকগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই দু’দিন। তবে ফার্মা স্টকগুলি প্রথম ত্রৈমাসিক আয়ের রিপোর্ট কার্ডের দৌলতে বিক্রির চাপ সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলি যদি বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন, তা হলে ব্যথা আরও গভীর হতে পারে। এনএসডিএল তথ্য বলছে, গতকাল সেনসেক্স হাজার পয়েন্টের বেশি পড়ে যাওয়ার সময় ১,৮৭৭.৮৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিল বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলি।
এরই মধ্যে আশার কথা শোনাচ্ছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থা। তাদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সোভেরন ক্রেডিট গ্রেড পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। তবে ভারতীয় বাজারে এই প্রভাব যে দীর্ঘস্থায়ী নয়। ভারতীয় সংস্থাগুলির প্রথম ত্রৈমাসিক আয়ের রিপোর্ট তুলে ধরে তাঁদের দাবি, এই ঘটনা দেশীয় বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: বাজারে এল রেডমি ১২ সিরিজ, মোটো জি১৪! জানুন কবে থেকে কোথায়, কত দামে কেনা যাবে