বিবি ডেস্ক: গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়েও নিফটি ছিল ১৫,৩০০-র আশেপাশে। সেখান থেকে মাস দেড়েকের মধ্যেই প্রায় ১৮,০০০। পরবর্তী গন্তব্য কোথায়?
প্রথমেই বলে রাখা ভালো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেড রিজার্ভের নীতি, বিশ্ব বাজারের মতিগতিতে বড়োসড়ো প্রভাব ফেলে। সেটা প্রায়শই ভারতীয় শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ঠিক যেমন শেষ কয়েক দিনেও স্পষ্ট ধরা পড়েছে। ফেড নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অল্প সময়ের মধ্যে বাজার চাপে পড়বে। কিন্তু শেষ কয়েক মাস ধরে সংশোধনের পর বাজার যে আরও বড়ো পতন মুখোমুখি হবে, সেটাও ধরে নেওয়া যায় না।
এই প্রেক্ষিতেই নিফটি ভবিষ্যৎ কিছুটা হলেও উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। অর্থাৎ, ১১ মাসের সংশোধনের পর নিফটি দীর্ঘমেয়াদি ওঠানামায় ২১,৫০০ পয়েন্টের শীর্ষস্তর ছুঁয়ে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে কম দামে স্টক কিনে অপেক্ষার রাস্তা ধরা যেতেই পারে।
তাই বলে কি, ভারতীয় শেয়ার বাজার আর নিম্নগামী হবে না? তেমনটাও মোটেই নয়। বিশ্ব বাজারের সঙ্গেই সংশোধনের পথ ধরতে পারে দালাল স্ট্রিট। কিন্তু মাত্রা কম হতে পারে। ঠিক যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ-সহ বেশিরভাগ বড়ো বাজারগুলি দুর্বল হয়ে পড়লেও, ভারতীয় বাজার আশ্চর্যজনক স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়ে চলেছে। সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও প্রবল। বড়ো ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশাই এই সম্ভাবনার উৎস।
গত বছরের ১৯ অক্টোবর ১৮,৬০৪.৪৫-এর শীর্ষে পৌঁছেছিল নিফটি। তার পর থেকে প্রায় ১১ মাস ধরে সংশোধনের স্তরে বিচরণ করছে ৫০ স্টকের এই সূচক। কোনো দিন রক্তক্ষরণ, কোনো দিন আবার তেজি ভাব। নিফটি রিয়েলটি বাদে, সমস্ত সেক্টরাল সূচকগুলি নেতিবাচক অঞ্চলে অবস্থান করেছে। নিফটি আইটি এবং নিফটি ব্যাঙ্ক সবচেয়ে খারাপ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, কারণ উভয় সূচকই ১ শতাংশের বেশি নীচে অবস্থান করছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, নিফটি আইটি সূচক গত বছরের তুলনা. এখনও প্রায় ১৮ শতাংশ নিচে রয়েছে। ফলে এই জায়গা থেকে এ বার বিনিয়োগকারীদের ব্যথা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ মিলতে পারে।
আরও পড়ুন: উদ্যোগী কেন্দ্র, আগামী ৫-৬ বছরে ১০ হাজার স্টার্টআপকে প্রচারের আলোয় আনার ভাবনা